Skip to main content

আমাদের পুরনো মসজিদ আবেগে ভরা

 


গত শুক্রবার ছিল আমাদের প্রাণপ্রিয় মসজিদে শেষ জুমার নামাজ। নামাজ শেষ হওয়ার পর থেকেই মসজিদ ভাঙ্গার কাজ শুরু হয়। এটি শুধু একটি মসজিদ নয়; এটি আমাদের বাপ-দাদাদের আবেগ, স্মৃতি এবং আমাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। ছোটবেলা থেকে এখানেই আমি নামাজ পড়েছি, হাজারো নফল, ফরজ এবং সুন্নত ইবাদত করেছি। রমজানের প্রতিটি মুহূর্ত, শবে বরাত, শবে কদরের রাত, সবকিছুই যেন এই মসজিদের চার দেওয়ালের মধ্যেই বন্দি ছিল।


আমার মনে পড়ে, শবে বরাতের রাতে যখন মসজিদের দেওয়ালে মোমবাতি জ্বালিয়ে সাজানো হতো। সময়ের সঙ্গে সেই মোমবাতি জায়গা নিয়েছে আধুনিক আলো এবং ডিজিটাল প্রযুক্তি। কিন্তু আমাদের মসজিদ সব সময় সেই একই অনুভূতি, একই আবেগের জায়গা হয়ে ছিল। রসুলপুর গ্রামের এই মসজিদ ছিল আমাদের ইবাদত এবং ঐক্যের প্রতীক।


তবে, সময়ের পরিবর্তনে উন্নত মসজিদ তৈরির প্রয়োজনীয়তা অনুভব করা হয়। সবার মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে পুরনো মসজিদটি ভেঙে নতুন মসজিদ নির্মাণ করা হবে। গ্রামবাসীরা নতুন মসজিদ নির্মাণের জন্য একত্রিত হয়েছে। কেউ আর্থিকভাবে সাহায্য করছে, কেউ নিজ হাতে কাজ করে শ্রম দান করছে। মুরব্বি থেকে শুরু করে যুবক পর্যন্ত সবাই এই পবিত্র কাজে যুক্ত হয়েছে।


এই মসজিদটি শুধু ইট-পাথরের একটি স্থাপনা নয়; এটি আল্লাহর ঘর। আমরা চাই, নতুন মসজিদটি আরও সুন্দর হোক, আরও মুসল্লিতে ভরে উঠুক। আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম এই নতুন মসজিদে তাদের স্মৃতি তৈরি করবে। তবে আমাদের পুরনো মসজিদের স্মৃতি চিরদিন হৃদয়ে গেঁথে থাকবে।


আমাদের গ্রামের ছোট-বড় সবার কাছে বিনীত অনুরোধ, আপনারা যেভাবে পারেন এই মসজিদ নির্মাণে সাহায্য করুন—হোক তা আর্থিক, শারীরিক শ্রম, বা শুধু একটি দোয়া। বাইরের যেকোনো ব্যক্তি যদি সাহায্য করতে চান, তারা মসজিদ কমিটির সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন বা সরাসরি একদিন এসে দেখে যেতে পারেন।


আমাদের একটাই প্রার্থনা, আল্লাহ যেন আমাদের এই স্বপ্ন পূরণ করেন এবং নতুন মসজিদটি মুসল্লিদের ইবাদতে ভরে ওঠে। এই কাজের অংশ হতে পেরে আমরা গর্বিত। সবাইকে এই মহান উদ্যোগে অংশ নেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানাই এবং দোয়া করতে বলি—যেন আমাদের এই পবিত্র প্রচেষ্টা সফল হয়।


Comments