Skip to main content

আমার পৃথিবীটা অন্ধকার হয়ে গিয়েছে, আমার সবকিছু শেষ হয়ে গেছে বাকি জীবনটা জিন্দা লাশ হয়ে বাঁচবো আলবিদা

 



যখন খুব বেশি প্রবলেম হচ্ছে, আমার একটা কথার দাম দিচ্ছে না, পৃথিবীতে সকল প্রবলেম আমাকে একসাথে দেখা দিয়েছে, তার উপর সে বাল পাকনামি করছে আমার সাথে, একটা কথার দাম দিচ্ছে না তখন আর সহ্য না করতে পেরে গত দেড় মাস থেকে আমার মুখে গালি চলে এসেছে, ওকে বারবার গালি দিতাম। সে বারবার অন্যায় করত আমাকে রাগ উঠানোর জন্য আর আমার রাগ উঠার পর কন্ট্রোল করতে না পেরে বারবার গালি দিতাম তখন সে বলত গালি দেওয়ার না জন্য,  আমার বারবার গালি দেওয়ার ইচ্ছা হতো কারণ সে কাজ এমন‌ই করত। সে হয়তো ছেড়ে দিতে চেয়েছে কিন্তু কোনো রিজন পায়নি আর হঠাৎ একদিন এই গালি দেওয়া টা রিজন হিসেবে মেনে নিল আর সে চলে যাওয়ার কথা বলল, আমি নিজে থেকেই বললাম হা ছেড়ে দাও কোনো অসুবিধে নেই যেখানে রেস্পেক্ট নেই সেখান থেকে কোন দরকার নেই। কিন্তু এর আগে বারবার এভাবে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে, সে নিজে থেকেই চলে আসত 2 ,1 দিন পর নইলে আমি নিজে থেকে চলে যেতাম। কিন্তু এইবার আমি পরিবারের কিছু প্রবলেমে ছিলাম সেজন্য পরিবারের প্রবলেম গুলো, আর নানান কস্ট ফেইস করতে গিয়ে আমি নিজে থেকে যাইনি অনেক বেশি কষ্ট হয়ে গিয়েছিল,  তার উপর রাগ বেশি হয়েছিল তাই সেও চলে আসেনি কারণ সে চলে যেতে চেয়েছিল আর আমিও জোর করিনি বলে খুব বেশি দেরি হয়ে গিয়েছিল। সারাদিন আমি যদি কোন কাজে ব্যস্ত থাকি কিন্তু রাতে খুব বেশি কষ্ট হত তাই অন্য নাম্বার দিয়ে দেখতাম সে অনলাইন নাকি অফলাইন হোয়াটসঅ্যাপে। যখন রাত 11 টা অথবা বারোটা অনলাইন দেখতাম তখন মনে খুব বেশি কষ্ট হতো, যে মানুষটা আমাকে ছেড়ে দিয়ে অন্যের সাথে কথা বলছে।  তাই তাকে মেসেজ করতাম আর খুব বেশি গালি দিতাম যে কেন অনলাইন এখন অন্য কেউ পেয়ে গেছো নাকি?  এই ভাবে কথা বলে আমি সঙ্গে সঙ্গে ব্লক করে দিতাম,  দুই তিন দিন পর আবার অন্য নাম্বার দিয়ে চেক করতাম টিক আবার অনলাইন দেখে আরো বেশি কষ্ট হতো আবার রাগ করে বকা দিতাম। সে‌ একদিন কল করে ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইল করল, বলল সে নাকি আমাকে খুব বেশি ভালোবাসে,  তাই যে আল্লাহর কাছে আমাকে খুঁজেছে সেই আল্লাহর কাছে কিভাবে অন্য ছেলেকে খুঁজবে?  আর সে নাকি জীবনে কাউকে বিয়ে করবে না । আরো নানান ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইল করল যেগুলা শুনেও আমি তাকে আর আটকাইনি কারণ তার উপর আমার খুব বেশি রাগ ছিল ভেবেছিলাম সে ফিরে আসবে সরি বলবে সব কিছু ঠিক করে নেবে, সে ঠিক হয়ে চলবে কিন্তু সে এমন কিছু করেনি বরং সে উল্টো আমাকে আরো কষ্ট দিতে চেয়েছিল সেই জন্য কল করে  এত কথা বলত। যাইহোক এভাবে দেড় মাস হয়ে গিয়েছিল আমি রোজ তার ভাইকে কল করে খবর নিতাম সে কেমন আছে এবং তার পরিবারের সবাই কেমন আছে ?  আর আমার একটা বিশ্বাস ছিল যে সে ফিরে আসবে কারণ এর আগে ফিরে এসেছে আর আমিও চুপ করে বসে ছিলাম একটু কষ্ট সহ্য করে নিয়ে যে সে যখন ফিরে আসবে তখন সবকিছু ঠিক করে নিয়ে ফিরে আসবে। 

16 নভেম্বর সন্ধ্যা পড়ে তার ভাই আমাকে কল করে বলে পারভেজ নামের কোন ছেলেকে আমি চিনি নাকি? তখন আমি  বললাম না তখন সে বলেছে যে ওই ছেলেটা নাকি ফোন করে বাড়িতে বিয়ের কথা দিয়েছে এবং অনেক কথা বলেছে তাদের পরিবারের বিষয় নিয়ে এবং এটাও বলেছে,  সে রাজি বিয়েতে শুধু পরিবার রাজি হওয়ার বাকি। এবং সে নিজেও তার ঘরে কল করে বলেছে যে একটা ছেলে বিয়ের কথা দেবে। যখন ওই কথা শুনে পায়ের নিচ থেকে মাটি চলে গিয়েছে , সঙ্গে সঙ্গে  শ্বাস বন্ধ হয়ে গেছে , আমি মাটিতে পড়ে গিয়েছিলাম এবং বাকি কথাগুলো শুনতে চেয়েছি। ওই ছেলেকে সে এমন এমন কথা বলেছে যে শুধু একটা মেয়ে তার বয়ফ্রেন্ডকে বলতে পারবে।  ওই কথাগুলো বলেছে যে কথাগুলো সে আমাকে এর আগে বলেছিল, ওই কথাগুলো ওই ছেলেকেও বলেছে তার মানে আমি অনেক কিছু বুঝে নিয়েছি। এই দশ পনেরো দিন আমি কথা বললাম না বলে সে অন্যের সাথে রিলেশনশিপে চলে গেল,  তারপরও বারবার বিশ্বাস হচ্ছে না যে সত্যি কি চলে গিয়েছে কারণ রোজ রাত অনলাইন দেখতাম তারপরও ইচ্ছা ছিল একবার কনফার্ম হওয়ার জন্য তার মুখ থেকে। তারপর আমার কান্না দেখে তার ভাই তাকে কল করে আমার বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে সে বলে যে আমাদের মধ্যে আর কোন সম্পর্ক নেই কারণ দুজনের মধ্যে ঝগড়া হয়েছে তৃতীয় কোন মানুষ ছিল না  ঝগড়া মেটানোর জন্য তাই কথা হয়না। তখন তার ভাই তাকে বলে যে সে রোজ কল করে তোর কথা জিজ্ঞেস করে আর মানুষটা খুব কাঁদে তোর জন্য একটা বিশ্বাস রেখে বসে আছে যে তুই ফিরে যাবি,  তো আমি তাকে বলব আনব্লক করার জন্য তুই ওকে আনব্লক করে যা করার কর, হয়তো শেষ করে দে, বযাতে সে যেন আর কোন উম্মিদ না রাখে আর নইলে তুই অ্যাকসেপ্ট করে নে। তখন সেটাকে বলে যে সে নাকি আমার হাত কাটা দেখে মজবুরিতে আমাকে ভালোবেসেছে যেটা পুরো মিথ্যে, কারণ যখন আমি হাত কেটে ছিলাম তখন সে সকালে ভালোবাসবে বলে বিকালে আবার ছেড়ে দিতো, এইজন্য আমি বেশি হাত কাটতাম আর এইভাবে তিন মাস আমাকে নাচিয়েছিল। পরে আমি একদিন রাগ করে পুরো ভাবে চলে যাই আর মোভ ওন করার জন্য অনেক সার্ভিস জয়েন করি, বেশি সময় দিয়ে থাকি যাতে তাকে যেন ভুলতে পারি,  এভাবে চার পাঁচ মাস চলে গেলে সে আবার আমার জীবনে ফিরে আসে, অনেক জোর করে, এক্সেপ্ট করার জন্যে, সে নাকি আমাকে ছাড়া থাকতে পারবে না, নানান কথা বলে, আমি ঐসব শুনে ভেবেছিলাম যে একটা মেয়ে আমাকে ভালোবাসবে তাই তাকে আমি একসেপ্ট করে নিয়েছি,  কিন্তু তারপরও একসেপ্ট করে নিলেও সে আমার অনেক কথার দাম দেয়নি, অনেক কষ্ট হত তাই কথায় কথায় তার উপর রাগ করে আমাকে আবার হাত কাটতে হয়েছিল, বারবার তার উপর রাগ করে হাত কাটতাম অথবা বুক কাটতাম, কারণ তখন আমি তাকে গালি দিতে পারতাম না আমি গালি দিলে আমার অনেকটা রাগ থেমে যায়, কিন্তু তখন গালি দিতে পারতাম না বলে হাত কেটে একটু কষ্ট শান্তি করতাম। আমি দুই বছরে তাকে বারবার জিজ্ঞেস করেছি যে তুমি কি আমার হাত কাটা দেখে চলে এসেছো?  তুমি কি মজবুরিতে  ভালবেসেছ?  বারবার বলত না, মজবুরি তে ভালবাসেনি আর  অনেকদিন সে হাত কেটেছে আমার জন্য তো তাই বিশ্বাস হয়ে গিয়েছিল যে সত্যিই আমাকে ভালোবাসে। সে তার ভাইকে এটাও বলে ছিল যে, যখন পরিবার থেকে মানবেনা তখন আমার একদিকে বিয়ে হবে সে অন্যদিকে কিছু একটা খারাপ করবে তাহলে এর আগেই না হয় তাকে ছেড়ে দেওয়া ভালো যাতে সে একটু মোভ ওন করতে পারবে আর আমার বিয়ের সময় কোন প্রবলেম হবে না। আমি তার ভাইয়ের মুখ থেকে ওই গুলা শুনে পুরো পাগল হয়ে যাই, সারা রাত কাঁদতে থাকি শান্তি পাই না এত কিছু জানার পর যে একটা মেয়ে আমাকে এত ভালবাসলো আর মাত্র দশ পনেরো দিন আমি চোপ থাকায় সে অন্যদিকে চলে গেল রিলেশনশিপে, তার ভাইকে এখন এত কিছু বলল তাই আমি সহ্য করতে না পেরে কেঁদে কেঁদে তার ভাইকে দুটো রেকরডিং এবং তাকে আনব্লক করে একটা রেকর্ডিং দিয়েছিলাম কেঁদে কেঁদে। তার ভাইকে যে রেকর্ডিং গুলা দিয়েছিলাম সে রেকর্ডিং গুলো আমি বদরুলকে দিয়েছি এটা বুঝাতে যে আমার খুব বেশি কষ্ট হচ্ছে আর অনেক প্রবলেম হয়েছে আমার লাইফে। সে হয়তো দিনে রেকর্ডিং গুলো শুনে অথবা রাত্রে তার ভাইয়ের কথা শুনে আমাকে বারবার কল করছিল কিন্তু নাম্বারটা ব্লকলিস্টে থাকার জন্য বারবার নোটিফিকেশন আসছে , সে আমার ঘরে কল করে বলেছে আমি কোথায় ঘড়ে হয়তো বলেছেন যে আমি ঘরে নেই তারপর সে আমার বন্ধুকে কল করে বলে আমাকে আনব্লক করার জন্য। আমার বন্ধু যখন জিজ্ঞেস করে যে আমাদের মধ্যে কি হয়েছে সে বলেছে আমি নাকি একটা খবিছ শুধু গালিগালাজ করি আমার সাথে থাকা যাবে না কখনো। তারপর আনব্লক করার কথা বলতে গিয়ে তাকে বলেছে যে ওকে বল আনব্লক করতে ওকে কয়েকটা থাপ্পড় দেওয়ার দরকার। তারপর সে আমার বড় বোন কে কল করে বলেছে আমাকে কল করার জন্য অথবা আনব্লক করার জন্য । আমি রাত থেকে কাঁদছিলাম আর একটিবার শুধু তার মুখ থেকে কনফার্ম হতে চেয়েছিলাম যে সত্যিই সে কি অন্য রিলেশনশিপে চলে গেল?  এই মাত্র কয়েকটা দিন আমি দূরে সরে যাওয়ায় ? তাই আমি তাকে কল দিয়ে জোরে জোরে কেঁদে কেঁদে আর রাগ উঠেছিল তাই গালিগালাজ দিয়ে আমি তাকে জিজ্ঞেস করতে লাগলাম যে সে কেন এমন করল। সে হয়তো বারবার কল করছিল আর ব্লক দেখে রাগ হয়েছিল আর তার উপর আমি যখন গালিগালাজ দিয়েছিলাম এই গালিগালাজ শুনে আমার উপরে পুরো রেগে গিয়েছিল, তাই আমাকে বলে ফেলে যে সে যদি আমার পাশে থাকতো তাহলে চপ্পল খুলে আমার মুখে মারতো আমার গালি গালাজ বন্ধ করার জন্য। এটা শুনে আমার খুব বেশি রাগ হয়েছিল তাই আমি আরো বেশি বেশি গালি গালাজ দিতে শুরু করেছি , একটা ছেলে সবকিছু ছেড়ে যদি একটা মেয়েকে তিন বৎসর ধরে ভালোবেসে আসছে পাগলের মত , সে যখন শুনবে ওই মেয়েটা অন্য ছেলের সাথে চলে যাচ্ছে মাত্র তিনটে দিন কথা না বলার জন্য তাহলে তার ভিতর কি আগুন জ্বলবে তা ঐ ছেলেটাই জানে , সেই আগুনের দাবানলে আমি রাগ করে গালি দিয়েছিলাম আর সে আমার এই গালিগালাজ শুনে রাগ করে এমন এমন কথা বলেছে যা জীবনে আমি স্বপ্নেও ভাবেনি সে আমাকে বলবে।

সে বলেছে আমার নাকি রক্তের দোষ তাই আমি গালিগালাজ দিচ্ছি,‌ আমার নাকি জন্মের দোষ তাই আমি গালিগালাজ দিচ্ছি , যার যার জন্মের দোষ থাকে তারাই গালিগালাজ দে।  আর আমি এবং আমার খানদান সবগুলোই এত খারাপ এজন্য আমি এরকম করছি । আমি আমার খান্দানের  খাছলত দেখাচ্ছি। আমি মানুষ না, আমি জানোয়ার না , আমি নিকৃষ্টতম প্রাণী।  আমার মত আর এই পৃথিবীতে দ্বিতীয় কেউ নেই আমি কুকুর না কুকুর থেকে আরও খারাপ যদি কিছু হয়ে থাকে তাহলে সেটা আমি। আমি এতই খারাপ যে আমার দোয়া তো দূরের কথা আমার বদদোয়া কবুল হবে না কারণ যারা নাকি গালিগালাজ করে আল্লাহ তাদের হৃদয়ে মোহর মেরে দে আর জীবনে তাদের দুআ নামাজ কিছুই কবুল হয় না। আমারও নাকি নামাজ দুয়া কিছুই কবুল হচ্ছে না এজন্য এত কষ্ট হচ্ছে আমার।  আমি কষ্ট , আমার নিজের জন্য পাচ্ছি আমি নিজেই এর জন্য দায়ী। আল্লাহ মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন আমার কাছ থেকে। এতকিছু শুনে আমি আও আও করে জুরেজুরে কাঁদছিলাম,  তখন সে রাগ করে বলে আমি যেন কান্না বন্ধ করে, কল করি । এখন সে কথা বলার জন্য কল করেছে কথা শোনার জন্য আমি যেন প্রস্তুত থাকি আর আমি নাকি রাত্রে যেগুলো কান্নার রেকর্ডিং দিয়েছি এবং আমার বন্ধু যে রেকর্ডিং গুলো দিয়েছে সে এক সেকেন্ডও শুনেনি কারণ সে আমার কান্না শুনতে চায়না। আর সে নিজে স্বীকার করেছে হা আমি রিলেশনশিপে গিয়েছি তুই আমাকে কেন ছেড়ে দিয়েছিলি আমি রিলেশনশিপে গিয়েছি আর ওই ছেলেটাকে আমি নিজেই বলেছি বাড়িতে বিয়ের কথা দেওয়ার জন্য। আমি রাগ করে ওই ছেলের কথা বলতে চাইলে সে বলে আমার মুখে যেন ওই ছেলেটার নাম নানেই। আমার মতো ঐ ছেলেটা নয় আমি নিকৃষ্টতম প্রাণী আর ওই ছেলেটা অনেক নামাযী অনেক ইসলামিক ওর বাবা ও অনেক নামাযী, ওর বাবা অনেক নামাযী বলতে গিয়ে সে আমার পরিবারকে ছোট করতে চেয়েছে। আমার সাথে তিন বৎসর সে রিলেশনশিপে থাকলো আর মাত্র দুদিনের পরিচয় এর একটা ছেলেকে বলল যে আমি যেন মুখে ওর নাম না আনি আমার থেকেও হাজারগুণ ভালো। 

আমি যখন তাকে বলেছিলাম যে আমি আজ প্রতিবন্ধী বলে কিছু করতে পারছিনা ভালো একটা ছেলে হলে অনেক কিছু করত,  সেই কথার উত্তরে সে বলেছিল যে আমি যেন শুকরিয়া আদায় করি আজ প্রতিবন্ধী হওয়ার জন্য,  কারণ যদি প্রতিবন্ধী না হতাম তাহলে আমি গালি দেওয়ার জন্য সে ঘরে এসে আমাকে নাকি মারতো। এইগুলা শোনার পর আমার পায়ের নিচ থেকে মাটি চলে গিয়েছিল আমি আর গালিগালাজ দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছি তারপর সে আমাকে বলছিল এমন এমন কথা যেগুলা হার্ট অ্যাটাকের মত কথা ছিল। সে আমাকে গালি দিয়ে বলছিল যে যখন আমি জানি বিয়ের পর ওর টাকা পয়সায় থাকবো, তার চাকরির টাকা পয়সায় আমি যখন থাকবো আমি কিছুই করবো না, যখন তাকেই বিয়ে করবো তাহলে কেন আমি মাথা নত করে থাকলাম না। তার মানে এটা বুঝতে পারলাম যে সে চাকরি পেয়েছে সে টাকাপয়সা দিয়ে আমাকে চালাবে তাই আমার উচিত ছিল চিরকাল আমি মাথা নত করে তার কাছে থাকতাম ছোট হয়ে। আমি যখন জোরে জোরে কেদে কেদে বলছিলাম যে আমার এত কষ্টের সময়ে তুমি এমন করছ, আমার ফ্যামিলিতে এত প্রবলেম হচ্ছে, তারপর‌ও  তুমি এমন করলে আমার সাথে সেই কথাতে উঠে বলে আমি কেন বাল পাকনামি করে পরিবারের জিম্মা আমার উপরে নিয়ে নিলাম, কিন্তু সে তো শিক্ষিত হয়েও জানলো না যে পরিবারের বড় ছেলে কখনো সে নিজ থেকে দায়িত্ব নেয় না, অটোমেটিক্যালি তার ওপরে সেই দায়িত্ব গুলো চলে আসে। তারপর যখন জিজ্ঞেস করলাম যে  আমি ছেড়ে দেওয়ার পর আবার ফিরে এসেছিলে তখন তোমার হাত কাটা দেখে ভালবাসনি নিজে থেকে ভালোবেসেছিলে তাহলে কেন তোমার ভাইকে এমন করে বললে এবং কেন এটা বললে যে যখন আমার বিয়ে হয়ে যাবে পরিবারে মানবে না তখন সে অন্য কিছু একটা করে নেবে তাই এখন ছেড়ে দিয়েছি সেই কথার উত্তরে সে বলে আমি প্রথমে চলে গিয়েছিলাম পরে ভাবলাম পরিবারে মানবে তাই ফিরে এসেছি এখন আবার ভাবছি হয়তো পরিবারে মানবে না তাই চলে যাচ্ছি। আর যখন আমি বললাম যে আমাকে ছেড়ে রাত এত রাতে অনলাইন থাকো ইচ্ছেমতো ছেলেদের সাথে কথা বলছ সে কথাতে বলে তার মোবাইল তার লাইফ আর সে নিজে মোবাইলে টাকা ভড়েছে তাই তার যা ইচ্ছা তাই করবে আমি কেন এখানে কথা বলব? 

আরো অনেক কথা হৃদয় ভেঙ্গে ভেঙ্গে এইভাবে বলেছে যা ভাষায় প্রকাশ করতে পারছি না, এগুলা বলার পর একটু ঠান্ডা হয়ে যাওয়ার পর সে আবার ঠান্ডা মাথায় কিছু কথা বলেছে, যেগুলা শোনার পর নিজের প্রতি এত বেশি ঘৃণা এসেছে যে আমি প্রতিবন্ধী এই কথাটা বোঝার জন্যই ছোট থেকেই পাগলের মতো প্রেম প্রেম করতাম ভাবতাম কোন মেয়ে আসবে, এত ভালবাসবে যে আমি প্রতিবন্ধী কথাটা ভুলিয়ে দেবে। সে যখন প্রথম প্রথম আমায় এত বেশি কেয়ার করে ছিল তাই পাগল হয়ে  প্রেমে পড়েছিলাম, ভেবেছিলাম সে আমাকে এত ভালবাসবে যে আমি প্রতিবন্ধী ভুলে যাবো । কিন্তু সে আমাকে এমনভাবে আমি প্রতিবন্ধী এটা প্রমাণ করে দেবে আর আমি পৃথিবীতে কিছুই করতে পারবো না, আমি কখনো স্বপ্নেও ভাবিনি । সে ঠান্ডা মাথায় বুঝিয়ে বুঝিয়ে এমন কথা বলেছে যা শুনলে হয়তো অবাক হবে এই পৃথিবী।

সে আমাকে এটা বলল যে এই পৃথিবীতে কোনদিনও কোন চাকরি করা মেয়ে আমার মত প্রতিবন্ধীকে ভালোবাসবে না। সে যথেষ্ট শিক্ষিত , তার শিক্ষায় কখনো দেবে না যে চাকরি পেয়ে একটা প্রতিবন্ধীকে বিয়ে করি। আর এমনিতে চাকরি ছাড়া কোন শিক্ষিত মেয়ে বিয়ে তো দূরের কথা ভালোবাসবে না । এমনকি কোন অংগনবাদী হেলপারেও আমাকে জীবনে বিয়ে করবে না। কোন মেয়ে বিয়ে তো দূরের কথা প্রেম-ভালোবাসা ও করবেনা আমার সাথে কারণ আমি প্রতিবন্ধী । আর একটা প্রতিবন্ধী মানুষের জীবনে সব সময় একটা মানুষ থাকতে হবে, তাই এসব কষ্ট দেখে একদিন না একদিন আমার পরিবার নিশ্চয়ই আমাকে বিয়ে দেবেন আর যার সাথে বিয়ে হবে ওই মেয়েটা কখনই রাজি হবে না আমাকে বিয়ে করতে, কিন্তু ফ্যামিলি চাপে আমাকে বিয়ে করবে আর এবং সেটা অন্যায় হবে ওই মেয়ের জন্য।  আর সেটা আমার গুনা হবে একটা মেয়েকে তার অনিচ্ছাতে একটা প্রতিবন্ধীর সাথে বিয়ে করার জন্য জোর করা।

তারপর বলছিল যে আমার পরিবার অনেক বড় , চারটে বোন রয়েছে যদি এদেরকে পড়াশোনা করতে হয় তবুও টাকা লাগবে যদি তাদেরকে বিয়ে দেওয়া হয় তবুও টাকা-পয়সার দরকার, আর মা-বাবা আজ আছেন কালকে হয়তো কিছু একটা হয়ে যেতে পারে,  বৃদ্ধ আরো বেশি হয়ে যাবেন তখন ও টাকার দরকার,  আর ছোট ভাই একটা আছে সেটা নাকি বড় হতে হতে অনেক সময় লাগবে আর সেটা বড় হয়েও যদি নিজের পায়ে দাঁড়ায় তাহলে সে কতদিন‌ই বা আমাকে চাইবে,  বেশ চেয়ে বেশ কয়েক বছর তারপর তো সে আর আমাকে দেখবে না,  আর আমার যা অবস্থা  চাকরি তো কখনো হবে না আর এইভাবে দোকানদারি করে তো ঋনি হচ্ছি।  এক টাকাও সেভ করতে পারছি না আর নিজে মাটির কাজ করে খাওয়াতে পারবো না , এত বড় পরিবার কারণ আমি এতই কমজোর যে কোন কাজ করে  খাওয়াতে পারব না। আর হ্যাঁ এটা সত্যি ছোট থেকে আজ পর্যন্ত একটার পর একটা শুধু কষ্ট সহ্য করে আসছ, জীবনে অনেক কষ্ট আছে , তাই এত কিছু দেখার পর আমি চাই একটু হেল্প করতে তোমাকে। জানি ভালোবাসবে না কিন্তু না ভালবাসলেও যেকোনো ভাবে আমাকে এই সুযোগ দেওয়া হোক আমি চাই তোমাকে একটু হেল্প করতে যাহাতে আমার টাকা পয়সাগুলোতে তুমি চলো এবং তোমার পরিবারকে ও সাহায্য করতে ‌। আর এই ভাবে মেয়েদের মতো না কেঁদে আমি নাকি যদি পুরুষ হয়ে থাকি তাহলে পুরুষের মতো তার বাড়িতে বিয়ের কথা বলার জন্য যেন বলি । আর আমি যেন এভাবে না কাদি সে আমার সাহায্য করতে চায় যদি আমার পরিবার এবং তার পরিবার রাজি হয় তাহলে সে আমাকে বিয়ে করতে রাজি এবং আমার পরিবারের এবং আমার দায়িত্ব নিতে রাজি। সে সেটা জানে আমি এখন কিছুই করি না তাই তার পরিবার কখনো মানবে না এবং কিছু করলেও হয়তো মানবে না তারপরও সে এটা  বলেছে যাতে আমি পরিবার থেকে রিজেক্ট হয়ে যাই অটোমেটিক্যালি ‌। ওই কথাগুলো শোনার পর আমার মুখ থেকে কোন কথা বের হয়নি কারণ আমি যে প্রতিবন্ধি আর আমি যে এতই কমজোর পৃথিবীতে কিছুই করতে পারবো না সেটা আমাকে ভালো করে বুঝিয়ে দিয়েছে। শুধু আমি এটা বলে কল রেখেদিয়েছি যে যেখানে আমাকে ভালবাসতে পারলে না আমার সাথে এত বছর থেকে আমার কষ্ট বুঝতে পারলে না সেখানে হেল্প আর কিভাবে করবে লাগবেনা হেলপের ।আমি শুধু ভালোবাসা চেয়েছিলাম কিন্তু তোমার টাকা আমি চাইনি কখনো। তারপর সে বকা দিয়ে বলেছে রাখ তাহলে।

এর আগেও অনেকবার সে আমাকে কিছু কথা বলেছে আমি তাকে বলেছিলাম যে আমি তার জন্য  পুরো ধ্বংস হয়ে গিয়েছি, তখন সে বলেছে কি ধ্বংস করেছি আমি?  বলেছিলাম যে তার  পেছনে পেছনে ঘুরেছি পাগল হয়ে পিছনে ছিলাম তাই পড়াশোনার অনেক ক্ষতি হয়েছে লাস্ট সেমিস্টার গুলোতে অনেক মার্কস কম এসেছে । আমি যখন এই গুলা  বলছিলাম সে তখন বলেছিল যে আমি নাকি মূলত গাদা আর দোষ তার উপরে দিচ্ছি। তারপর যখন বলেছিলাম যে আমি এত হাত কেটেছি রক্ত বের করেছি , সে বলেছিলো সে  বলেছি নাকি আমি হাত কাটার জন্য?  আর যদি আমি হাত কাটে থাকি তাহলে সেও অনেকবার হাত কেটেছে, তারপরে বলেছিলাম যে আমি সহজে তো পাইনি শতশত নফল নামাজ পড়ে পেয়েছি, তখন সে বলেছে আমি পাগল নাকি রিলেশনশিপ হারাম আর সেই হারাম রিলেশনশিপে নামাজের জন্য কবুল হয়ে যাবে আমার জন্য আল্লাহ কি উনার কুরআন বদলে দেবেন ? আমি নাকি পাগল আমি ভুল ধারণা নিয়ে আছি, যে আমার নামাজ কবুল হয়েছে। সে এটাও বলেছে যে সে আর আসবে না কারণ রিলেশনশিপ হারাম ইসলাম ধর্মে নেই সে এখন খুব নামাজী হয়েছে আর সে জান্নাতে যেতে চায় তাই সে কখনো আসবে না । আমি নাকি তাকে নিয়ে টিকটক ভিডিও বানাতে চেয়েছিলাম সে বানায়নি, তাই হাজার শুকরিয়া।  আমি নাকি তাকে পৃথিবীর সামনে বের করতে চেয়েছিলাম আর একটা মুসলিম মেয়ে সব সময় তার পর্দায় থাকা উচিত, আমি নাকি কোনদিন তাকে বাধা দেই নি ফেসবুকে ছবি ছাড়তে, আমার নাকি উচিত ছিল তাকে বাধা দিতে যে ফেসবুকে ফটো ছাড়বে না, কিন্তু আমি করিনি, আরো অনেক হৃদয় ভেঙ্গে কথা বলেছে।

ছোট থেকে আজ অব্দি এত কষ্ট পেলাম, আমার এই জীবনে প্রতিটি মুহূর্তে কষ্ট পেয়েছি প্রতিটি জিনিসে, কোন কিছু করতে চাইলে সেই জায়গায় ফেইল হয়েছি, এই পৃথিবীতে এত বড় ফেইলার আমি। আর হয়তো জীবনে কল আসবে না আর হয়তো আমিও কল দেবো না আমার আর মুখ নেই কারন সে যখন বলেছে আমি যেহেতু জানি তার টাকা পয়সায় আমি থাকবো তাহলে কেন আমি নত হয়ে না থাকলাম না, আর সে যখন বলেছে আমি প্রতিবন্ধী কমজোর কিছুই করতে পারবো না , এত কিছু বলে দিয়েছে তাহলে ওই জায়গায় হয়ত আর থাকতে পারব না । কিন্তু সে দুদিন থাকতে পারল না অন্যদিকে রিলেশনশিপের চলে গেল আর আমি পাগলের মত অপেক্ষায় থাকলাম। কোন মেয়ের দিকে তাকালাম না ভাবলাম সে ফিরে আসবে। অনেক মেয়ে কথা বলে হাসি ফূর্তি করে কিন্তু ওদেরকে দেখে সেই ভালবাসার ফিলিংস গুলো আয়না,  আর মনে হয় না যে আমি আর কোনদিন  কোন মেয়েকে ভালোবাসতে পারবো । এটাই আমার জীবনের সবকিছু শেষ। আমি সুসাইড করতে পারবোনা পৃথিবীতে কষ্ট পেয়েছি সুইসাইড করলে মৃত্যুর পরও কষ্ট পাবো। কিন্তু আল্লাহ যদি একজন সত্যি হয়ে থাকেন তাহলে আমার মা এবং তার সামনে যেন আমার মৃত্যু মুখটা একটিবারের জন্য দেখাবেন, আর ওরা যেন দেখতে পায় যে আমি এই পৃথিবী ছেড়ে, এই কমজোর ছেলেটা এই দুনিয়া ছেড়ে চলে গিয়েছে , এবং তারা যেন খুশি হয়ে যায়। আমার মায়ের কথা কেন বলেছি সেটাও একটা বিষয় থাকুক সেটা আমর মনে।


1st December 2021 - 👇

ঐসব কথা শোনার পর কোন ছেলেই আর ফিরে যাবে না, কিন্তু আমি খুবই পাগল ছিলাম তাকে ছাড়া বাঁচতে পারছিলাম না, শ্বাস বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল তাই রোজ হাত কাটতাম বুক কাটতাম এবং ভিডিও করে তাকে দিতাম সেইগুলা দেখতো, দেখেও সে অনলাইন থাকত অন্যের সাথে ব্যস্ত থাকত , তার কিছু যায় আসে না ওই গুলা দেখে। রোজ কল করে জুরেজুরে গলা ফাটিয়ে কাঁদতাম আর বলতাম কেন এমন করলে সে বলতো যে সে নাকি অন্যের সাথে যখন সুখে আছে তাহলে কেন আমি তাকে ডিস্টার্ব দিচ্ছি আরো এমন কিছু কথা বলেছে যেগুলা শুধু একটা দুশমন দুশমন বলে এত বেশি নফরত আমার প্রতি কিভাবে হলো আমি বুঝতে পারলাম না। শিল্লো নভেম্বরের পর থেকে ডিসেম্বরের প্রথম দিন পর্যন্ত তার সাথে সম্পর্ক ছিল মানে কল করে কাঁদতাম দিলে হাত কেটে কেটে ভিডিও দিতাম কিন্তু সে বলেছে তার কিচ্ছু যায় আসে না আমি মরে গেলেও। যখন থাকতে পারছিলাম না সবকিছু ভুলে ভাবলাম সে তো বলেছে যদি আমি তাকে ছাড়া থাকতে পারতাম না তাহলে কেন মাথা নত করে থাকলাম না, তাই আমি ভাবলাম যদি মরেও যাই তাহলে মৃত্যুর পর যদি আল্লাহ জিজ্ঞেস করেন কেন মাথা নত করে তাহলে তাকলে না যদি বাসতেই হতো অথবা নিজেও আফসোস হয়তো করব তাই শেষবারের মতো এই সুযোগটা দেখে নেই তাই তাকে কল মেসেজ করেছিলাম যে আমি মাথা নত করতে রাজি আমি হার মেনে গেছি আমি তোমাকে ছাড়া থাকতে পারবো না, পুরো এক রাত মেসেজ করছিলাম বারবার কল করছিলাম পরের দিন সকাল দশটা পর্যন্ত অনবরত কলার মেসেজ করছিলাম সে রিসিভ করেনি রিপ্লাই দেয়নি তারপর সে রিসিভ করে বলেছে মোবাইল নাকি সাইলেন্ট ছিল সে দেখেনি তারপর আমি ওই কথাগুলো বলেছিলাম আর কাজ ছিলাম সে আমাকে বলে আমি শান্ত হয়ে যেন কথা বলি সে কান্না শোনার জন্য ফোন রিসিভ করেনি। তারপর আমি বলেছিলাম যে আমি মাথা নত করতে রাজি আমার জীবনে ফিরে আসো আমি থাকতে পারছি না আমার সবকিছু শেষ হয়ে গেছে আমি বাঁচতে পারব না তখন সে বলেছে এখন অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে এখন মাথানত করলেই হবে না আমি কেন আগে মাথানত করলাম না আর আমাদের রিলেশনশিপ আর কখনো হবে না। আমি বললাম যে আমাকে ছেড়ে দিও না যদি ছেড়ে দাও হয় মরে যাবো নইলে রাস্তার পাগল হয়ে যাবো তুমি দেখবে আর পরে হয়তো আফসোস করবে কিন্তু সে মানেনি। 
তারপর বুঝে গিয়েছি যে এখানে আর হবে না সে যখন ভালোই বাসে না সে যখন আমার রক্ত চোখের জল দেখে তার কিচ্ছু যায় আসে না তখন আর কি বলার তাই কেঁদে কেঁদে কল কেটে দিয়েছি কিন্তু কয়েকটা প্রশ্ন মনে থেকে গেল। সে যদি আমাকে ছাড়া আর একটা কারণ বলতো তাহলে আমি ওই কারণটা ঠিক করে নিতাম কিন্তু সে আমাকে একসাথে চার পাঁচটা কারণ বলল আর প্রত্যেকটির উত্তরে আমি যখন সলিউশন দিলাম তখন সে অন্য কথা বলে জিতে যায় মানে তাকে কোনোভাবেই কথা বলে হারানো যায়না।

সে আমাকে বলল আমার রিলেশনশিপে সে কখনো সুখ শান্তি পায়নি তাই ছেড়ে দিয়েছে কিন্তু আমি তো এখন বললাম যে তার প্রত্যেকটি কোথায় থাকব এবং আমি মাথা নত করে থাকবো তাহলে সে কেন এখন মানছে না, 
সে বলল রিলেশনশিপ নাকি হারাম এখন সে ম্যাচিওর হয়ে গিয়েছে এটা বুঝেছে যে ভালোবাসা হারাম তাই সে ভালবাসতে চায় না আর সে জান্নাতে যেতে চায় তাহলে আমার সাথে ভালবাসলে হারাম আর অন্য কারো সাথে রিলেশনশিপে চলে গেলে আমাকে ধোঁকা দিয়ে একটা প্রতিবন্ধী ছেলেকে ধোকা দিয়ে তার জীবন ধ্বংস করে সেটা কি হারাম না?

তারপর সে বলল তার পরিবারে মানবে না তাই এত দেরি করে লাভ নেই এর আগে থেকেই ছেড়ে দেওয়া ভালো কিন্তু যেখানে পরিবারের অর্ধেক মানুষ রাজি এবং তার নিজের ভাই বলেছে সে যতদিন চিন্তা আছে আমাদেরকে মিলিয়ে দেবে চিন্তা করার কোনো কারণ নেই সেখানে সে কিভাবে পরিবার দেখিয়ে আমাকে ছেড়ে দিল?

তারপর বলল সে অন্য জনের সাথে রিলেশনশীপ করে সে অনেক সুখে আছে তাহলে কেন আমি তাকে এত ডিস্টার্ব দিচ্ছি কিন্তু একটা ছেলেকে তিনবছর ধরে ভালোবেসে মাত্র তিন-চারদিনের আরেকজন কিভাবে এত আপন হয়ে যায়?

যে মানুষটা আমাকে কয়েকদিন আগে আমার মা বাবার কসম দিয়ে সে কথা দিয়েছিল যে সে যদি কখনো আমাকে ছেড়ে দে তবুও আমি যেন তাকে না ছাড়ি ,
তাকে জোর করে আটকে রাখি সে আমাকে ছাড়া বাঁচতে পারবে না ওই মেয়েটা আজ নানান বাহানা দেখাচ্ছে আমাকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য আমার রক্তের দাম নেই তার কাছে আমার চোখের জলের দাম নেই আমার এক সপ্তাহ ধরে উপাস থাকার দাম নেই আমার কষ্টের দাম নেই আমার চিৎকার করে কান্নার দাম নেই তার কাছে। থাকুক সে খুব সুখে যদিও জলে আগুন আমার বুকে।

আমার কোন ভাবে শান্তি আসছিল না, সে আমাকে বারবার অপমান করার পরও আমি কান্না থামাতে পারেনি কষ্ট সহ্য করতে পারতাম না তাই তাকে আবার বেহায়া হয়ে কল করতাম আর বারবার বলতাম যে আমার খুব কষ্ট হচ্ছে আমি থাকতে পারবো না সে আবার আমাকে বকা দিত আমার কমজোরি নিয়ে কথা বলতো আমার দুর্বলতা বারবার দেখা তো আমি এইগুলা ভেবে আবার রেখে দিতাম বলতাম আর কথা বলবো না আর তাকে শেষবারের মতো লম্বা রেকর্ডিং দিতাম এবং অনেক লম্বা করে মেসেজ লিখতাম, কিন্তু আবার একদিন পর সহ্য হতো না আবার তাকে বেহায়া হয়ে কল করতাম অনেক সময় সে ব্লক করে দিত অন্যকে দিয়ে রিকোয়েস্ট করে আনব্লক করে কল করে কথা বলতাম এবং মেসেজ করতাম। এইভাবে চলতে থাকে দু সপ্তা। আফসোস এটাই যে সে আমার লম্বা রেকর্ডিং গুলো একটাও শুনেন নি কারণ সে বলতো এগুলো তার কাছে এটা বোরিং লাগে সে আমার কান্না শুনতে চায় না। আর এত লম্বা মেসেজ তার মাথা নষ্ট হয়ে যায় তাই সে পড়তে চায় না তাই কখনো এগুলো পড়ে উনি আরে কোডিং শুনেনি এইভাবে আমার অনেকটা রেকর্ডিং ও অনেকটা শেষ ম্যাসেজ এখনও রয়ে গেছে চ্যাট লিস্টে কিন্তু সে শুনেনি। আমার এত কষ্ট দেখে আমার কান্না দেখে আমার এক বন্ধু রিকোয়েস্ট করল যে তুই একবার কোন পন্ডিত এর কাছে যা এবং গিয়ে দেখা যে এটা কি হয়েছে এবং তার ছোট ভাই ও আমাকে সেই কথা একদিন বলেছিল কিন্তু আমি ওই সব জিনিস বিশ্বাস করি না বলে কথা ছেড়ে দিয়েছি কিন্তু এত কষ্টের পর ভাবলাম একবার দেখে নেই। যে জিনিসটা আমি বিশ্বাস করি না এবং খুব বেশি নাফরাত করি শুধু তার জন্য আর আমার কষ্ট কম হওয়ার জন্য আমি চলে গেলাম এক পণ্ডিতের বাড়িতে। পন্ডিতের তার নিয়ম অনুযায়ী মুরগি এসেছে দেখে অনেক কথা বলে। সে বলল অন্য একটা ছেলে নাকি তাকে তাবিজ করেছে প্রায় আট হাজার টাকা খরচা করেছে এবং আমাদের সম্পর্ক বিষয়ে তার বাবা পরে পরিবারের সবাই জানে। ‌ তার মা আগে খুব খুশি ছিলেন আমার কথা জেনে কিন্তু এখন নাকি অনেক টেনশনে আছেন মেয়েটা অন্য দিকে চলে যাচ্ছে। আমার অবস্থা খুবই খারাপ ছিল তাই পণ্ডিতের কথা ঘুরাতে পারিনি আমি শুধু বলেছিলাম যে ওই ছেলেটা যা করেছে সেটা কাটাতে পারবেন কি আর যদি কাটাতে হয় তাহলে কত টাকা লাগবে। ‌তো সে আমাকে বলেছে ওই ছেলেটার টাও কেটে দেবে এবং তাকেও নাকি আমার কাছে এনে দেবে এবং তার পরিবারকে মানিয়ে নেবে সব কিছু একসাথে হয়ে যাবে যদি আমি এত টাকা দিতে পারি। ‌ আমার এটা জানা আছে যে আমি যদি কাউকে তাবিজ করে আনি তাহলে কোন দিনই সে সুখে থাকবে না অথবা আমার মনের ভিতর এটা কখনো আমাকে সুখে রাখবে না যে আমি একটা মেয়েকে জোর করে এনেছি তাই আমি সেটা কখনো চাইনি। শুধু কষ্টটা দূর করার জন্য আর যদি সত্যি ওকে করে তাকে আর সেটা যদি কেটে যায় তাহলে সে আমার কাছে ফিরে আসবে এটা ভেবে আমি উনাকে অর্ধেক টাকা দিয়ে বলেছি শুধু এই কাজটা করে দাও যে অন্য কেউ যদি কিছু করে থাকে তাহলে সেটা কেটে দাও। তারপর উনি বললেন যে তিনি উনি রাত এটা করে ফেলবেন তারপর আমি ফিরে আসি। তারপর পুরো এক দিন হয়ে গেল কোন খবর আসেনি তো আমি উনাকে কল করে বললাম যে কেন এখনো কোন খবর আসেনি উনি বললেন ধীরে ধীরে সবকিছু হবে। ‌ ওই পন্ডিত খুব গরিব ছিল তাই আমি এটা ভেবে নিয়েছি যে আমার টাকাগুলো একজন গরীব কে দিয়েছি আর সেটা ভেবে উনার কথা ভুলে গিয়েছি। আর এক ওয়াজ এ শুনেছিলাম একজন মাওলানা একটা এবাদতের কথা বলতে যে এশার নামাজের পর সেই ইবাদত করলে আল্লাহর ফেরত একটা আশা পূর্ণ করে দেন আমি ঠিক রোজ রাতেই এবাদত করতাম আর এত জোরে জোরে খাতাম যে আজ পর্যন্ত কোন মৌলনা হয়তো কোন দোয়াতে এরকম কাঁদেননি। ঘরের সবাই শুনতে পান না কিন্তু কিছুই বলতো না। তাকে আমি যখনই কল করতাম কেঁদে কেঁদে সে সঙ্গে সঙ্গে কল কেটে দিত বলতো আমি তোর কান্না শোনার জন্য কল রিসিভ করিনি যদি নরমাল হয়ে কথা বলার হয় তাহলে বলবি। কিন্তু আমার এত বেশি কষ্ট যে আমি কিভাবে নরমাল হয়ে কথা বলব আমার নরমাল হয়ে কথাই আসে না। আমার বড় বোন একদিন আমাকে কল করে বলেছে যে আমি কেন এসব এত কান্নাকাটি করছি তো তার বাড়ি যেতে সবকিছুর তো সলিউশন দরকার এভাবে আর কতদিন যাবে। আমি তার বাড়িতে যাইনি না গিয়ে আবার ঠিক ওইভাবেই বার বার কল করতাম আর সে বারবার আমার দুর্বলতা নিয়ে কথা বলতো। 

একদিন আমার খুব বেশি কষ্ট হচ্ছিল আর সে খুব বেশি আমাকে ইগনোর করছিল আমার আর সহ্য হচ্ছিলো না, কাউকে খুঁজে পাচ্ছিলাম না আমার কষ্ট বলার তাই আমি তার বড় ভাইকে রাত 11 টায় কল করি এবং জোরে জোরে কেঁদে কেঁদে বলি আমার খুব বেশি কষ্ট হচ্ছে, হাজার নয় বারবার জিজ্ঞেস করছেন আমি কে কেন কল করেছি কোথা থেকে করছি আর আমি শুধু খেতেই যাচ্ছিলাম পরিচয় না দিয়ে। তো উনি বার বার একটার পর একটা প্রশ্ন করছিলেন আর আমি শুধু কাঁদছিলাম তারপর উনি গরম হয়ে গিয়েছিলেন, উনি আমাকে চেনেন হয়তো না চেনার একটু ভান করেছেন তারপর বলেছেন যদি বেশি কষ্ট হয় তাহলে আল্লাহ কে বলো তারপর আমি ওনাকে বলি যে আমি তো আল্লাহকেই বলছি আর কেউ নেই তারপর কল রেখে দিয়েছিলাম। সে পাশে থেকে সব শুনছিল আর আমাকে বারবার হত কল করছিল, পড়ে এসে ম্যাসেজ করে বলেছে তার সবকিছু শেষ হয়ে গিয়েছে এখন দাদা বকা দেবে মোবাইল নিয়ে নেবে কিন্তু আমি জানি এমন কিছুই হবে না তাই আমি ওকে বলেছিলাম এটা যে কিছুই হবে না। তারপর শুরু হয় বকা দেওয়া ও দুর্বলতা নিয়ে কথা বলার চাপটার সে প্রায় আধাঘণ্টা আমাকে বকা দিয়েছিল এবং আমার দুর্বলতা নিয়ে কথা বলছিল। খুব বেশি বকা দেওয়ার পর আর দুর্বলতা নিয়ে কথা বলার পর একসময় সে বলেছে যে সে থাকবে আমার সাথে রিলেশনশিপে আর আমার কথা রাখবে। কিন্তু সকাল হতেই সেই কথা সে পল্টি মারে আর আমার খুব বেশি রাগ হয়েছিল, তাই ওর একটা চূর্ণী ছিল আমার রুমে চূর্ণী টা ফেন এর সাথে লাগিয়ে আর গলায় বেঁধে আমি তাকে ছবি দিয়েছিলাম যে আমি মরে যাচ্ছি আমার আর সহ্য হচ্ছে না, সেটা দেখে সে আমাকে থামিয়ে ছিল বলেছিল যে না মরার জন্য সে আমাকে ভালবাসবে। কিন্তু বিশ্বাস করো ওই গলায় দড়িটা লাগানো অবস্থায় সে সঙ্গে সঙ্গে মানে নেই সে আমাকে বলেছিল তার ভাইয়ের এক্সাম সেনাকে কি একটা হেল্প করছে আর এখন যদি এটা না করে তার ভাইয়ের এক্সাম খারাপ হবে আর তার স্কুলে এসেছে কোন ক্লাস করাতে হবে। তার মানেটা হল আমি মরে যাই তার কাজ তার পরিবার তার সবকিছু বড় আমার প্রানের চেয়ে। আমি দশটায় গলায় দড়ি লাগিয়ে ছিলাম আর দুপুর দুটোর সময় পর্যন্ত গলায় দড়ি লাগিয়ে এক জায়গায় দাঁড়িয়ে ছিলাম শুধু তার কাজ শেষ হওয়ার পর সে আমাকে যেন কল করে বলবে। সে স্কুল থেকে এসে আমাকে কল করে বলল যে ঠিক আছে সে মেনে নেবে তারপর আমি জানি আমাকে ছেড়ে দেবে তাই আমি ওকে বললাম আল্লাহ কসম খেতে সে আল্লাহ কসম খেয়ে বলল সে আমার সব কথা রাখবে আর আমাকে ভালবাসবে। আমি তারপর নামাজে চলে যাই গিয়ে অনেক খুশি হয়ে আল্লাহকে শুকরিয়া আদায় করি কিন্তু আমার ভিতরে কস্টো রয়েছে যে মানুষটা এত বড় ছ্যাকা দিয়েছে আর ফুট করে ছেড়ে দেবে আবার। নামাজ পড়ে তার সাথে হাসিমুখে দু-একবার কথা হয়। ঠিক রাতে আবার সে আমার দুর্বলতা নিয়ে কিছু কথা বলে আমি শুধু এটা বলেছিলাম যে আমার তো বিশ্বাস টা বারবার ভেঙ্গেছে তাহলে বিশ্বাসটা আবার ফিরে আনতে এমন কিছু করো যাতে আমার বিশ্বাসটা ফিরে আসুক আমার খুব বেশি কষ্ট হচ্ছে আমি থাকতে পারছি না তারপর সে আমাকে মুনাফিক বলে নানান বকা দিয়েছে পৃথিবীর যত দুর্বলতার শব্দগুলো ছিল সব গুলো বলেছে ঠিক আছে তাহলে আমি চলে যাচ্ছি তোমার জীবন থেকে আবার তাকে লম্বা মেসেজ দিয়েছি আগের মতোই সে এগুলো কখনো শুনিনি। পরের দিন সকালে ঘুম থেকে উঠে আর সহ্য হয়নি বোনের বাড়ি চলে যায় এবং গিয়ে বোনকে কেঁদে কেঁদে সব কিছু বলে ফেলি। তারা বলেছিল যে আমরা দেখছি তুমি কত কষ্টে আছো আর কত কষ্ট করে বড় হয়েছ কিন্তু সুসাইড করলে আখেরাত টা নষ্ট হয়ে যাবে। আর কাউকে জোর করে আনলে সুখে থাকবে না কখনোই। তারপর তারা বলেছে যে কোন একটা ছেলোশোন বের হবে। আমি হয়তো পুরো এক সপ্তাহে বোনের ঘরে দুমুঠো ভাত খেয়েছি। তারপর বাড়ি ফিরে আসি বোন হয়তো কল করেছিল তাকে ঠান্ডা মাথায় কথা বলেছে ,তারপর বোনের কথা বুঝলাম যে সে আমার বিরুদ্ধে প্রত্যেকটি কথা বলেছে। আমি নাকি বকা দিয়েছিলাম গালি দিয়েছিলাম এই গুলো কিন্তু একটা মানুষকে তিন বছর ভালোবাসার পর সে যদি অন্যায় করে বা আমার কোন কথার দাম না দেয় তাহলে কি আমি তাকে একটু বোকা বা গালিও দিতে পারি না এইটুকু অধিকার কি পেলাম না তিন বছরে? তারপর বলেছে যে সব কিছু ঠিক করে নেবে। পরের দিন সে কিন্তু কল করে নি আমি নিজে থেকেই আবার খেতে খেতে কল করেছিলাম সে বলেছে সে মানবে কিন্তু আমাকে নাকি মাথা নত করে থাকতে হবে। তার প্রত্যেকটি কথা রাখতে হবে। আরো অনেক কথা বলেছে তারপর আমি খেতে খেতে বললাম যে আমি মাথা নত করে থাকব কিন্তু কেন আমি শুধু প্রতিবন্ধী এইজন্য ? তারপর সে বলল হা এজন্যই। তারপর আমি তাকে বারবার বুঝিয়ে ছিলাম যে আমি এত কষ্ট করছি এত কান্নাকাটি করছি শুধু ভালোবাসার জন্য আর আমি প্রতিবন্ধী বলে মাথা নত করে থাকবো এটা কি সম্ভব? সে বলেছে সম্ভব হলে তা না হলে আল্লাহ কে ওয়াস্তে আমাকে রেহাই দাও। আমি কষ্ট করে মেনে নিয়েছি এবং থাকতেও বলেছি। কিন্তু আমার মনে কবে যে কষ্ট হচ্ছিল যে আমরা দুই বন্ধুই বলে মাথা নত করে আছি এবং আরও নানান কষ্ট যে সে আমাকে আবার ছেড়ে দেবে তো বারবার তাকে জিজ্ঞেস করতাম তুমি কি আমাকে আবার ছেড়ে দেবে তো সে আমাকে আবার বকা দিত এভাবে অনেক দুর্বলতা নিয়ে আবার কথা বলতো তাই আবার কষ্ট হতো আবার আমি তাকে বলতাম ঠিক আছে আমি আর তোমাকে কল করে ডিস্টার্ব দেব না পরে আমি কল করতাম না আর। একা একা কাঁদতাম খুব জোরে জোরে কাঁদতাম কেউ ছিল না যাকে কল করে একটু বলতে চেয়েছিলাম আমার দুঃখ সবাই একটু শোনার আগে বকা দিয়ে কল রেখে দিত। এইভাবে আমি একদিন চুপ করে থাকতাম আবার কল করে কাঁদতাম সে আমার কান্না তো শুনতে রাজি হতো না, পৃথিবীর যত অপমান করার সে আমাকে করে নিয়েছে এই এক মাসে পৃথিবীর যত কষ্ট দেওয়ার সে কষ্ট দিয়েছে এক মাসে। আর আমারও পৃথিবীর যত ধরনের চেষ্টা ছিল তাকে মানানোর তাকে বোঝানোর প্রত্যেকটা চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছি। 

একদিন হঠাৎ মনে হল যে যদি সে সত্যি ভালোবাসে তাহলে আমি যদি অন্যের সাথে চলে যাই তাহলে তার কষ্ট হবে তাই তাকে মিথ্যা কথা বলেছিলাম যে আমার বাড়িতে আছি ওরা এসেছে এবং আমার বিয়ের কথা বলেছে রবিবারে বিয়ে হয়ে যাবে। তারপর সে একটু স্যাড হয়ে গেল আর বারবার আমার বিয়ে নিয়ে বলছে যে কেন এরকম এটা তো ঠিক নয় এভাবে বলছিল কিন্তু সেই বলার সুরে আগের মত যে জলন বা হিংসা সেরকম কিছু ছিল না। তারপর আমি তাকে মিথ্যে কয়েকটা মেসেজ বানিয়ে দিয়েছিলাম আর সে এগুলা দেখে হাসছে এবং বলছে যাওয়া বিয়ে করো চাচির সাথে কিন্তু আমি কিছুটা কথা ভালো করে বলার পর সেন জানি না কাকে কল করেছে কিনা হঠাৎ বলে আচ্ছা করে নাও বিয়ে ইচ্ছেমতো খুশি থাকো তারপর বুঝলাম সে জন্যই যে এটা মিথ্যা। সে আমার বিয়ের কথা জেনেও সে ফিরে আসেনি ঐদিন রাতে হয়তো আমার সাথে একটু হাসিমুখে কথা বলেছে আমিও ভালোবেসে কথা বলেছিলাম আর রাত্রে বারবার মেসেজ করছিলাম যে আমার কষ্ট হচ্ছে আমার বিশ্বাস হবে বা আমাকে ভালোবাসবে এমন কিছু করে নাও বা আমরা বিয়ে করে নেই দয়া করে এটা মেনে যাও। তারপর সে আমাকে বকা দেওয়া শুরু করে আবার দুর্বলতা নিয়ে কথা বলে। ঝাটকা খাওয়ার অফ কষ্টের পুরো একমাস হয়ে গিয়ে ছিল 17 ডিসেম্বর শুক্রবার আমি নামাজে গিয়ে আল্লাহর কাছে মেনেছিলাম যে যদি এগুলো ঠিক হয়ে যায় তাহলে আমি 100 রাকাত নামাজ আবার পড়ো এবং খতম পড়াবো ‌। তারপর নামাজ থেকে এসে কিছু নফল নামাজ পড়ার পর হঠাৎ মনে পড়লো এটাও তো হতে পারে যে আল্লাহ তো ভাবছেন যে তুই নিজে মাথা নত করে নে তুই নিজে কল করে ঠিক করে নে তাই আমি নামাজ কিছু পরে ঠিক কি শাড়ি পরে আবার চলে গিয়েছি এবং তাকে কল করে কান্নাকাটি শুরু করেছিলাম। সে আমার কান্না শুনে বকা দেওয়া শুরু করেছে আর বলছিল নরমেল হয়ে কথা বলতে। আমি তাকে বলছিলাম নরমেল হয়ে কথা বলতে যে সে মেনে যেতে। সে বলেছে আবার যে আমি নাকি মাথা নত করে থাকলে সে মেনে নেবে। ‌ আমি বিয়ের কথা বলতে গিয়েছিলাম সে বলে যে আমি কিছুই করি না তাহলে পরিবারে মানবে না, যদি পরিবারে বলে কি করে ছেলেটা তখন আমি কি বলবো এটা বলব উনিতো ইউটিউবে ভিডিও বানান আর রীলস ভিডিও বানানো এগুলোতে হয়ে যাবে? এই কথা বলে সে আমাকে কটাক্ষ করেছে সে জানতো আমার খুব স্বপ্ন ছিল ইউটিউবার হওয়ার এবং আমি খুবই ভালোবাসি এইগুলা সে জেনেশুনেও আমার এইগুলা নিয়ে আমাকে কটাক্ষ করেছে, তারপর বলে আমার জন্য নাকি তার সবকিছু শেষ হয়ে যাচ্ছে আমার সাথে সম্পর্কে থাকলে সে অশান্তিতে তাকে তার নামায খাওয়া-দাওয়া কিছুই টাইম মতো হচ্ছে না আমি কল করি বলে আমি যেন কল না করে তাকে আর যদি মরার হয় তাহলে চুপচাপ যেন মরে যাই কষ্টে কিন্তু তাকে যেন আমি ডিস্টার্ব না করি। এই কথা শোনার পর সঙ্গে সঙ্গে ইচ্ছা হয়েছিল মরে যেতে কিন্তু বড় কষ্ট হচ্ছিল মানুষটাকে খুব বেশি ভালোবাসি তাই তো এতকিছু বলার পরও পারছি না তার উপর একটু রাগ করে থাকতে অথবা গালি দিয়ে থাকতে আমি শুধু চেয়েছিলাম সে মেনে নিতে অনেক বার দুর্বলতা নিয়ে বলার পর সে মেনে নেবে আর আমিও মানব কিছু কথা শুনবে এই কথা বলে কথা ঠিক থাকে তারপর আমি ঘুরে আসি। রাতে আমার খুব বেশি কষ্ট হচ্ছিল যে সে আমাকে ছেড়ে দেবে আর আমাকেও তো বিয়ে করবে না আর আমি এতো বড় ধাক্কা খেয়েছি পরে আর খেতে চাই না তাই তাকে বিয়ের কথা বলেছিলাম যে আমি এক্ষুনি বিয়ে করতে চাই। সঙ্গে সঙ্গে পৃথিবীর যত দুর্বলতা থাকে একটা প্রতিবন্ধী ছেলে আর সেইসব দুর্বলতা বলে ফেলে একটার পর একটা। আর বলে বিয়ে করতে হলে মিনিমাম মোহরানা এক লাখ টাকা লাগে আমি কি পারব এক লাখ টাকা দিতে বা আমার কাছে কি আছে তার ভরণপোষণের টাকাপয়সা। আরো অনেক কিছু বলে আমার কিছুই নেই একমাত্র সে আমাকে ভালোবাসে পৃথিবীর অন্য কোন মেয়ে আমাকে ভালোবাসবে না আমি নাকি শুধু লাভ করতে পারবো এ ছাড়া আর পৃথিবীতে কিছুই করতে পারবোনা আমার কিছুই নেই। আরো অনেক কথা বলেছে এইভাবে আমার প্রতিবন্ধী নিয়ে তারপর মনে হলো একটা মেয়েকে এইভাবে জোর করে রেখে আর আমার দুর্বলতা দেখে যদি সে ভালোবাসে তাহলে তো কখনো সুখে থাকবে না তাই আমি ওকে বলেছি যে ঠিক আছে তাহলে টাকা পয়সাই আসল টাকা পয়সা না থাকলে কিছুই নেই আর আমার যোগ্যতা নেই তাহলে তুমি সুখে থাকো টাকাপয়সা ওয়ালা দের কাছে আমি চলে যাচ্ছি এটা বলে কল রেখে দেই। খুব বেশি কষ্ট হচ্ছিল তাই প্রায় আধাঘণ্টার একটা রেকর্ডিং করে তাকে দিয়েছিলাম ভেবেছিলাম যে পুরো তিন বৎসরের সব কথাগুলো যে আমি কত কষ্ট করেছি ভালোবাসতে গিয়ে কষ্ট করেছি ভালোবাসার আগেও কষ্ট করেছি আর ভালোবাসার পর কষ্ট করছি তাকে বলেছিলাম যে রেকর্ডিংটা শোনার জন্য কিন্তু সে এখনো শুনিনি। এইভাবে পরের দিন শনিবার বিকেলে এভাবে জোর করতে থাকি কান্নাকাটি করতে থাকি সে রাজি হয়নি। তারপর আমার খুব বেশি অবস্থা খারাপ হয়েছিল বিছানায় ছিলাম সংঘের একটা ছেলে হয়তো তাকে ছবি দিয়েছিল আমার এই অবস্থা নিয়ে তারপর সে আমাকে মেসেজ করে যে আমার কি হয়েছে আমি বলেছি কিছুই না তারপর বকা দেওয়া শুরু করে আর বলে আমি তাকে শান্তিতে থাকতে দিচ্ছি না আমি তাকে খুব বেশি ডিস্টার্ব দিচ্ছি সে সারাদিনের স্কুল দিয়ে কষ্ট পেয়ে এসে বিকেলে আমার জ্বালায় কী থাকতে পারে না। এইভাবে বারবার বকা দিতে থাকে এবং বারবার প্রতিবন্ধী নিয়োগ কথা বলতে থাকে তারপর আমি বলি ঠিক আছে আমি কাউকে বলবো না যে আমার কি হয়েছে আর তোমাকে কেউ কষ্ট দেবে না তুমি সুখে থাকো। পরের দিন দুপুরে পিসারিপাড়ে ছিলাম রোদের মাঝে খুব বেশি কষ্ট হচ্ছিল, তাকে বারবার কল করছিলাম সে আমাকে বকা দিয়েছিল যে দাদা ঘরে এসে কল করতে পারবে না আমি শুধু বলেছিলাম তুমি কথাগুলো শুনবে আমি শুধু বলব কল করে নাও তারপর অনেক সময় পর সে কল করেছে করেই বোকাচোদা করে দিয়েছে আর বলছে প্রয়োজন তা আমার থাকতে পারছি না আমি তাই আমাকে মাথা নত করে থাকতে হবে আরো অনেক বোকা দিচ্ছিল আমাকে আবার কান্না শুনতে চায় না তার নাফরাত এসেছে সে বারবার চায় মেনে নিতে আমাকে কিন্তু মেনে নিতে পারছে না আমার মধ্যে নাকি ধৈর্য শক্তি নাই এভাবে নানান বকা দেওয়ার পর আমাকে দে। পরে সন্ধ্যার সময় কল করে তারপর আমি সন্ধ্যার সময় ফিশারের পাড়ে ছিলাম ওই জায়গায় খুব জোরে জোরে কান্না করে আকাশের দিকে তাকিয়ে বলছিলাম যে হায় আল্লাহ আমাকে এক্ষুনি মেরে ফেলো আর কত কষ্ট আমি সহ্য করবো আমার আর সহ্য হচ্ছে না খুব জোরে জোরে কান্নার পর হয়তো তার একটু কষ্ট হয়েছে নাকি কি জানি না সে মেসেজ করে বলে যে আমি বাড়িতে যেন যাই আর সে আমার প্রত্যেকটি কথা রাখবে আর আমাকে মাথা নত করে থাকতে হবে না সে ভালবাসবে তারপর আমি বারবার জিজ্ঞেস করেছিলাম এটা কি সত্যি সে বলছে হাসতি তারপর খুব বেশি খুশি হয়েছিলাম এবং ঘরে গিয়ে তার সাথে থে মেসেজ করছিলাম। আমি পুরো ভিতরে ভিতরে প্রবেশ করেছিলাম যে এমন কোন কথা বলবো না যাতে সে কষ্ট পায় বা সে আমাকে খুব বেশি বকা দিলেও আমি চুপ করে মেনে নেব কারণ আমি এখানে অসহায় তাই আমি চুপ করে শুনছিলাম অনেক কথা কিন্তু আফসোস আমি ভালো কথা বলতেও সে রাগ করে কথা বলে। আমি তাকে বারবার জিজ্ঞেস করছিলাম যে তুমি হঠাৎ মেনে নিলে তুমি কি জোর করা মেনে নিয়েছো। তারপর সে বলে হা‌ জোড় করে মেনে নেওয়া হয়েছে আমি বললাম কিন্তু জোর করে ভালোবাসার সুখ শান্তিতে থাকবে না হৃদয় থেকে ভালবাসতে হয় তারপর সে বলল তুমি জোর করে চোখ তাই আমি মজবুর হো এ হৃদয় থেকে ভালবাসছি। মানে আমার এক একটা কথার উত্তরে সে এমন কথা বলে যে আমি অসহায় হয়ে পড়ি কি রিপ্লাই দেবো খুঁজে পাইনা। তারপর আমি বললাম তাহলে তো আমি অন্যায় করছি এটা হয়তো ঠিক না তাহলে সে বলছে অন্যায় করছ এবং আরো বেশি করবে তোমার সুখের প্রয়োজন তাই তোমার সুখ টাই আসল। তুমি বদলা নেবে। এতদিন তুমি কষ্ট করছো এখন তুমি বদলা নেবে এসব কথার পর আমি আর ছাড়ার কথা বলিনি চুপ হয়ে তাকিয়ে রয়েছি ভাবলাম হয়তো চোখ থাকলে এমনিতেই সে রাজি হবে। আমার অনেক কথা ছিল অনেক কষ্ট হচ্ছিলো কিন্তু সে ঐদিন বলে যে সে নাকি শুয়ে পড়বে দশটার আগেই আমিনা বলিনি তারপর অনেক এইভাবে গরম হয়ে কথা বলার পর সে ঘুমিয়ে পড়ে। আগে যখন সে আমার সাথে রিলেশনশিপে ছিল তখন অনেক সময় আমি ঘুমানোর পর সে আমার হোয়াটসঅ্যাপে আছে অনেকটা মেসেজ করত সে আমাকে মিস করছে বলে। আমি একমাস ধরে এত কষ্টে আছি আর আজকে সে ফিরে আসছে কত সুখে আছি আর কষ্ট হচ্ছে যদি আবার চেটে দেয় তাই ঘুমানোর পর আমি তাকে কয়েকটা মেসেজ করেছিলাম যে মিস করছি আর এইসব নিয়ে। তাকে বলেছিল আমি সকালে কল করতে ঘুম থেকে উঠে কিন্তু সে করেনি ঐদিন শে লেট করে উঠেছে আটটায়। সকালে আমি দু-তিন বার কল করে নিয়েছিলাম এবং মেসেজও করছিলাম যে প্লিজ কল করো তাই যে ঘুম থেকে উঠে শুরু করে দেব পুরো বোকা যে আমি কেন পাগল হয়ে গিয়েছি। আমার ভিতরে নাকি ফেরাউন আছে। আমার ভিতর ধৈর্য শক্তি নাই। তার সময়টা আমি নষ্ট করছি আমার জন্য তার সবকিছু নষ্ট হচ্ছে। এইভাবে আরও অনেক বকা দিয়েছে কিন্তু আমি তাকে বলি উনি যে তুমি অনলাইন হই আমার সাথে কথা বল আমি বলেছি ঘুম থেকে উঠে সে স্কুলে যাও কিন্তু সে নিজে থেকেই অনলাইন এসেছে এবং এই মেসেজগুলো দেখে বলছে যে যখন আমি জানি সে ঘুমে তাহলে কেন পাগলের মত এত মেসেজ করতে আমি নাকি ফেরাউন। এগুলো শুনার পর আমি চুপ হয়ে গিয়েছি এবং সে স্কুলে চলে গিয়েছে যাওয়ার সময় কল করেছিল তারপর আমি তাকে বলেছি যে স্কুলে যাওয়ার পর আর আমি কথা বলব না তুমি বাড়ী এসে ফ্রি হয়ে কথা বল আমি চাইনা আমার জন্য তোমার টাইম নষ্ট হোক। তারপরও সে স্কুলে গিয়ে কল করে এবং এমনিতে আমার সাথে কথা বলছিল আর আমি বলছিলাম ওর খুব বেশি কষ্ট হচ্ছে তো আমার বিশ্বাস টুকু গড়তে হবে ধীরে ধীরে সে মেসেজ করে বলছিল ঠিক আছে গড়বো। আমার বেশ কিছু চাওয়ার ছিল না তার কাছ থেকে কোনদিন কোন কিছু চাইনি শুধু এটাই চেয়েছিলাম সে আমাকে একটু পাগলের মত ভালবাসতে আর আমাকে ট্রু লাভ করতে আর আমার ভালোবাসার হক গুলো আদায় করতে। শেখ কল করেছিল আমি বলেছিলাম আমি কি আজকে আসব তোমার সাথে মিলতে সে রাগ করে বলে না আসবে না তোমার মুখ আমি দেখতে চাই না তারপর আমি জিজ্ঞেস করলাম কেন কেন এমন হয়েছে তারপর শুরু করেছে ছাত্র-ছাত্রীর সামনে আমাকে বকা দেওয়া এমন এমন বোকা ধরা দিয়েছে যে আমার প্রতিবন্ধীকতা নিয়ে। সে বলেছে আমার কিছুই নেই না ধন সম্পত্তি আছে না টাকা পয়সা আছে না কোন চাকরি আছে আমার কিছুই নেই আজ যদি তাকে কেউ মারতে আসে তাহলে আমি তাকে বাঁচাতে পারবো না যদি সে অসুস্থ হয়ে যায় তাহলে তাকে কসবি তেল নিয়ে যেতে পারব না আমার কোন কিছুই নেই। শুধু আমি লাভ করতে পারব আর কিছু পারবো না। এগুলো শুনার পর আমার আওয়াজ দেকে কান্না চলে এসেছে তারপর সে মোবাইল রেখে ছাত্র-ছাত্রীর পড়াশোনা নিয়ে চলে যায় কল করতে ভুলে গিয়েছিল প্রায় আধাঘণ্টা আমি তার গলার আওয়াজ শুনছিলাম কেঁদে কেঁদে। তারপর শেখ মোবাইল হাতে নিয়ে বলে যে এখনো কি করলে আছো তারপর আমি বললাম যে আমি এতই দুর্বল এতদিন থেকে আমি এত দুর্বল গরীব এখন যদি তুমি আমার সাথে আসো তাহলে এটা অন্যায় হবে আর আমি আসলে থাকতে পারিনা কিন্তু তুমি বলেছিলে যে আমি যদি থাকতে না পারি তাহলে চুপচাপ মরে যেতে কিন্তু তোমাকে ডিস্টার্ব না করতে। প্রত্যেকবার বেহায়ার মত ফিরে যাই কিন্তু এবার আল্লাহ কসম খেয়ে বলছি আমি আর ফিরে যাব না খুব বেশি কষ্ট হলে আমি মরে যাব কিন্তু তোমাকে বলবো না। তারপর সে বলে আমি যেন তার কোন পরিবারের কাউকে কল না করি তার ভাইয়ের কে কল না করি। আমি প্রমিস করে বলেছি করবো না। তারপর এটাও বলেছি যদি মরে যাই তাহলে সে যেন আমার মরা মুখটা না দেখলে আর কখনো নামাজ পড়ে আমার জন্য যেন দোয়া না করে যে আমি যেন সুখে থাকে আমি চাইনা তার দোয়া। সঙ্গে সঙ্গে সে বলে সে নামাজ পড়ে তার নিজের জন্যও দোয়া করে না আর আমার জন্য দোয়া কর আর তার সময় নেই। তারপর আমি বলি যে আমার জন্য যে ছেলেটাকে ব্লক করে দিয়েছে হয়তো এত মধুর সম্পর্ক ছিল এগুলা ঠিক করে নিতে আমি না হয় তাকে পায়ে ধরে সরি বলে নেব তারপর সে বলে আমার কাছে হাজারো অপশন আছে আমাকে বলে দিতে হবে না আমার কি করতে হবে আমি হাজারো ছেলে পাব। শের আগে অনেকবার এই কথা বলেছে আর আমি যখন বলতাম যে আমি তোমাকে ভালবেসে অন্য কোন মেয়ের দিকে তাকাই নি কাউকে ভালবাসিনি সঙ্গে সঙ্গে বলতো কোন মেয়ে তোকে ভালোই বাসবে না তাহলে কিভাবে তুই কারো সাথে যাবে। তারপর কল রেখে দিয়ে আমি তাকে সব জায়গায় ব্লক করে দেই আর নিজে থেকে কসম খেয়ে নেই যে আমার মধ্যে যদি এতই দুর্বলতা তাহলে কেন একটা মেয়ের জীবন নষ্ট করব। আমি সারাটা জীবন মৃত্যুর আগ পর্যন্ত খুব বেশি কষ্টে থাকবো আর এইভাবে কষ্টে মরে যাব কিন্তু সুসাইড করতে পারব না কারণ বড় বোনের মাথায় হাত দিয়ে কসম খায়েছি আমি সুসাইড করব না কিন্তু এই কষ্টে আমি বেশি দিন বাঁচবো না। গত এক মাস থেকে আমি এক টাকা রুজি করতে পারিনি গত এক মাসে মাত্র 7 থেকে 8 বেলা একটু একটু ভাত খেয়েছি আর বাকি সব সময় আমি উপোষ থেকেছি। হয়তো মরে যেতাম কিন্তু একদিনের জন্য সে যখন মেনে ছিল তখন আমি খুশিতে শরীরে স্যালাইন মেরে ছিলাম আর এসেই স্যালাইন মেরে অনেকটা শক্তি পেয়েছি। ‌ মানুষটা আমার দুর্বলতা নিয়ে যা যা বলল এইগুলো চিরকাল মনে থাকবে আর খুব বেশি জোরে জোরে কাঁদবো যে একটা মানুষের পরিবারের কাউকে মেরে ফেললেও এত ভয়ঙ্কর ভাবে কটাক্ষ করত না সে 3 বছর ভালোবাসার পর যে কথাগুলো আমাকে বলল।
আরো অনেক বড় বড় কথা বলেছে যেগুলো হয়তো মনে আসছে না লিখতে পারছি না কিন্তু হঠাৎ মনে পড়ে কেঁদে উঠি এই ভাবে এগুলো ভেবেই থাকবো আর এভাবে জীবন চলে যাবে যদি বেঁচে থাকি তার কথা অনুযায়ী পৃথিবীর কোন মেয়ের জীবন নষ্ট করব না আমার মতো এতো দুর্বল একটা ছেলের সাথে এনে। মৃত্যুর পর থেকে আজ পর্যন্ত শুধু কষ্টই পেয়ে আসছি মাঝেমধ্যে যদি একটু হেসে নেই সেই হাসার পরিনাম খুবই ভয়ঙ্কর হয়। আল্লাহ প্রতিবন্ধীর বানিয়ে অনেক কিছু দেখালেন পৃথিবীর সব প্রবলেম আমি ফেইস করে নিতাম কিন্তু শুধু এই একটাই প্রবলেম আমি হার মেনে নিয়েছি। আমি শুধু তার দিকে তাকিয়ে বেঁচে ছিলাম শুধু তাকে ভালবেসে এত কষ্ট সহ্য করতাম কিন্তু আজ সে মাঝ রাস্তায় প্রতিবন্ধী বলে লাথি মেরে চলে গিয়েছে। যখন নতুন রিলেশনশিপ হয়েছিল সে আমাকে বারবার বলত তুমি যদি হাত পা ঠিক করে নাও তাহলে আমি তোমাকে ভালোবাসবো না, তোমাকে কিচ্ছু করতে হবে না তুমি শুধু খাবে ঘুমাবে আমাকে ভালবাসবে আমার চাকরি আছে, বিয়ের পর তোমাকে কিছুই করতে দেব না, কিন্তু আজ এত দুর্বলতা দেখিয়ে সে চলে গেল। ( 20 Dec 21)

Comments