Skip to main content

রিলেশনশিপ অর্থাৎ ভালোবাসা নিয়ে আমার হৃদয়ের কিছু কথা

 


যখন আমাদের জীবনে ক্যারিয়ার নিয়ে কোনো টেনশন থাকে না যখন আমাদের পরিবারে আমাদের মাথার উপর গার্জেন থাকেন উপার্জনের রাস্তা থাকে আর আমাদেরকে দেওয়া হয় পড়াশোনা করার জন্য অথবা এমনিতেই যাহারা ঘোরাফেরা করে তারাই সবচেয়ে বেশি এই ভালোবাসা নিয়ে চিন্তায় থাকে। বর্তমান সমাজ অনুযায়ী আমরা সর্বদাই একটাই ধারণা নিয়ে চলাফেরা করি যে কোথায় কোন মেয়েকে সুন্দর লাগছে অথবা কোথায় কোন মেয়ে লাইন দেবে। যখন কাউকে হৃদয় থেকে একটু বেশি ভাল লেগে যায় অর্থাৎ সেটা ভালোবাসা নাও হতে পারে খুব বেশি অ্যাট্রাকশন এর কারনেও কারোর জন্য আমরা পাগল হয়ে যাই এবং এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে আমরা জীবন দিতে বাধ্য হয়ে যাই। পাগলের মত খাওয়া-দাওয়া ছেড়ে দিয়ে সবকিছু ছেড়ে দিয়ে পেছনে পেছনে ঘুরেফিরে আর শুধু বলতে থাকি যে সে কখন ভালোবাসা গ্রহণ করবে। তখন পুরো পৃথিবীর উপর নফরত এসে যায় আর ওই মানুষটাকে শুধু ভাললাগে যদি সেই সময় পরিবারের কোনো মানুষ ওই মানুষটার বিরুদ্ধে কথা বলে তাহলে সেই পরিবারের কেউ ঘৃণা করতে দ্বিধাবোধ করিনা। যে মানুষ একটা পশু হত্যা করতে ভয় পায় সেই মানুষ যদি তার প্রেমিকার সাথে অন্য কোন ছেলে প্রেম করতে চায় তাহলে সেই ছেলেকে মারতে প্রস্তুত থাকে। কারণ তার মাথায় তখন ক্যারিয়ার নিয়ে টেনশন থাকে না পরিবার নিয়ে টেনশন থাকে না শুধু তাকে একটাই আশা ওই মেয়েটাকে পাওয়া। 2 , 3 বছর ওই মেয়েটার পেছনে ঘুরতে ঘুরতে এক সময় সেই মেয়েটা হয়তো এক্সেপ্ট করে, তারপর শুরু হয় নতুন চ্যাপ্টার। আগে যে ছেলেটা সেই মেয়েকে পাবার জন্য যা যা করত তা সঙ্গে সঙ্গেই বদলে যায় কারন সে এখন পেয়ে গেছে এখন তার নানা আশা-আকাঙ্ক্ষা থেকে যায় যেগুলো সেই মেয়েকে দিয়ে সে পূরণ করতে চায়। সেই ছেলেটা হয়তো আগের মতো মেয়েটার সব কথা রাখে না কিন্তু মেয়েটাকে মন থেকে ভালোবাসে আর অধিকার দেখাতে চায় আর সেখানেই লেগে যায় আবার ঝগড়া। মেয়েটি হয়তো ভাবে ছেলেটা এখন আর প্রেম করে না কিন্তু মেয়েটি হয়তো এটা জানেনা যে ছেলেটা খুব বেশি ভালবাসে তবে এখন অধিকার দেখাতে গিয়ে মেয়েটি হয়তো নানান কথা না রাখার কারণে রাগ হতে পারে সেই রাগের কারণে রিলেশনশিপে না না ঝগড়া হয়। 

যখন প্রথম প্রথম প্রথম ভালোবাসা হয় তখন সেই ছেলের কাছে ওই মেয়েটির প্রত্যেকটি জিনিস ভালো লাগে। সেই মেয়েটির যদি বমি করে তাহলে ওই ছেলেটি মেয়েটিকে পাওয়ার জন্য যদি বলা হয় সেই বমি ফেনীতে তাহলে সে প্রসাদের মত খেয়ে নেবে। চাহে নিজের শরীর শেষ হয়ে যাক তারপরও সেই মেয়েটি যদি তাকে কষ্ট দেয় বা বকা দে তাহলে সে রাগ করে ইচ্ছেমতো শরীর কাটবে আর রক্ত ঝরাবে।  জীবনের যতই বড় পরীক্ষা হোক না কেন চাহে কলেজের পরীক্ষা হবে নতুবা স্কুলের পরীক্ষা হবে নতুবা কোন চাকরির পরীক্ষা হোক ওই ছেলেটা ওই মেয়ের জন্যই পাগল থাকে যে সে পড়াশোনা করবে না এবং এমন হবে সেই মেয়েটির জন্য হয়তো সেই একজাম এটেন্ড করবে না।
মন্দির মসজিদে যদি না যাওয়ার অভ্যাস থাকে তারপরও সেই মেয়েকে পাওয়ার জন্য সে সবকিছু ছেড়ে বারবার সেই পবিত্র স্থান গুলোতে যেতে থাকবে। ঘরে হয়তো মা-বাবা রোগে আক্রান্ত হয়ে আছেন জীবনে কখনো মা-বাবার জন্য দুই রাকাত নফল নামাজ পরবেনা কিন্তু সেই মেয়ের জন্য শত রাকাত নামায এক সাথে পড়ে নেবে শুধু এই মেয়েকে পাওয়ার জন্য। যখন সেই মেয়েটা কথা শুনছে না তখন রাগ থাকবে মেয়েটার উপরে কিন্তু মেটাবে ঘরের যেকোনো কারোর উপরে। একবেলা ভাত না খেলে যে ছেলের ফ্যাদা লেগে যায় সেই ছেলে 4, 5 বেলা ভাত না খেয়ে থাকবে। পৃথিবীর যত কাজগুলো অসম্ভব হবে সেই কাজের মধ্যে যেকোনো একটা কাজ যদি ওই মেয়েটা বলে তাহলে সেই ছেলেটা পাগলের মত করে দেবে। যেহেতু তার ক্যারিয়ার নিয়ে চিন্তা নেই পরিবার নিয়ে চিন্তা নেই যদি সেই মেয়েটা একসেপ্ট না করে অথবা কয়েকদিন ভালবাসার পর ছেড়ে যায় তাহলে সে মারতেও দ্বিধাবোধ করে না, রিলেশনশিপ একসেপ্ট করার আগে অথবা রিলেশনশিপ থাকা অবস্থায় ওই ছেলেটা অনেকবার সুসাইড করবে শুধু ওই মেয়েটার জন্য। যে বন্ধুগুলো তাকে অনেক বড় বড় বিপদ থেকে বাঁচিয়ে রেখেছে অনেক বিপদে সাহায্য করেছে সেই বন্ধু গুলোর সাথে চিরকালের জন্য সম্পর্ক নষ্ট করে দেবে শুধু ওই মেয়েটার জন্য। যতক্ষণ পর্যন্ত মেয়েটি ভালোবাসা গ্রহণ করবে না ততক্ষণ পর্যন্ত মেয়েটিকে যেকোনো অবস্থাতেই ভালো লাগবে কখনো তাকে অসুন্দর মনে হবে না। 

পৃথিবীর সব কিছু ছেড়ে দিয়ে নিজের সুখের জীবন ধ্বংস করে নিজের পড়াশুনার ধ্বংস করে নিজের ক্যারিয়ার ধ্বংস করে নিজের ফ্যামিলির ফিউচার ধ্বংস করে , হাজার রাকাত নফল নামাজ ও অনেকটা রোজা রেখে, যখন সেই মেয়েটির পেছনে 3, 4 বছর কুকুরের মত ঘুরে বেড়াবে নিশ্চয়ই সেই মেহনত অনুযায়ী মেয়েটি ভালোবাসা গ্রহণ করে নেবে। কিন্তু এতকিছুর ধ্বংসের কারণে শেষ শূন্য হয়ে যায় তার মধ্যে আর কিছুই থাকে না সবচেয়ে বড় কথা self-respect যে শব্দটা সেই শব্দটি তার জীবনে আর থাকে না। কারণ সেই মেয়েটিকে পাওয়ার জন্য ওই ছেলেটা ওই মেয়েটির পায়ে বারবার ধরেছে বারবার কেঁদেছে আর অনেকবার তো সৃষ্টি যে করেছে চেয়েও বড় মনে করে রেখেছে। self-respect ক্যারিয়ার এবং টাকাপয়সা যে ছেলের কাছে নেই আর তাকে কোন মেয়ে এক্সেপ্ট করে নিয়েছে তাহলে হান্ডেট পার্সেন্ট গ্যারেন্টি সেই ভালোবাসা মাত্র দু এক বছরের জন্য। মেয়েটির যতই বলবে আমি কিছুই চাই না তোমার তারপরও ইনডাইরেক্টলি অথবা প্রকৃতির নিয়ম অনুযায়ী তোমার কাছে কোন কিছু নেই বলে সেই মেয়ে থাকবে না এবং সেখানে মেয়েটির কোনো দোষ নয় সেখানে তোমার দোষ আর প্রকৃতির নিয়ম। তুমি যে সময় নিজের ক্যারিয়ার ধ্বংস করছিলে ঠিক সেই সময় মেয়েটি তার ক্যারিয়ার গড় ছিল। আর ঠিক সেই অনুযায়ী সে তোমার চেয়ে বড় হয়ে যায় self-respect এর দিক দিয়ে আর নিজের ক্যারিয়ারের দিক দিয়ে। তুমি মজনু তার জন্য কবিতা লিখতে থাকো হাত কাটতে থাকো আর সে তার লাইফ সেটেল করে নেবে। 


এক্সেপ্ট করার পরে কিছু কিছু জিনিস যা প্রথমে মানবে না আর তার জন্য তুমি অনেক কান্নাকাটি করবে সাধারণ জিনিস যে এখানে আসো তোমার সাথে মিলবে সে তখন কথা রাখবে না তখন তুমি এগুলা নিয়ে কাঁদবে জুরেজুরে গলা ফাটাবে। সে তোমার একটা কথার দাম দেবে না। কারণ তুমি তাকে এর আগে ভিক্ষা চেয়ে প্রেম খুঁজেছিলে তাকে বলেছিলে তুমি একবার শুধু একসেপ্ট করে নাও তোমার প্রত্যেকটি কথা রাখবো তুমি একবার আমার হয়ে যাও তুমি যা বলবে আমি তাই করবো তুমি একবার আমার হয়ে যাও আমি এই পৃথিবী ছেড়ে দেবো তুমি একবার আমার হয়ে যাও আমি তোমাকে ছাড়া আর কিছুই বুঝবে না। আমি তোমার পায়ে ধরি তুমি আমার কথা গুলো দেখে নাও আমি তোমার পায়ে মাথা রেখে বলছি একটিবার আমার কথা মেনে নাও। আর এইসব প্রেম-প্রীতির কান্নার ফলে তার কাছে তোমার রেস্পেক্ট একটুও থাকবে না সেজন্য তোমার কোন কথার সে দাম দেবে না। হা তুমি অনেকবার ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইল করে তাকে একবার দুবার কথাগুলো মানিয়ে নিতে পারো আর যদি ভুলবশত সে তোমার এই কথাগুলো একবার দুবার রেখে দেয় তাহলে এই একবার-দুবার রেখেছে এই কথাগুলো পুরো বছর শুনাবে যে আমি তো তোমার কথা রেখেছি তারপরও আমি সেই কথাগুলোর মূল্য পাইনি তাই আমি আর রাখব না। তুমি তাকে বুঝাতে যাবে যে আমরা রিলেশনশিপে এসেছি আমরা একসাথে থাকব এক সাথে সবকিছু করব এবং তোমারও আমার সব কথা রাখতে হবে কারণ আমি পুরুষ তখন তোমার পুরুষত্ব নিয়ে সে হাসবে । তুমি যখন পৃথিবী ঘুরে বেড়াবে আর দেখবে যেসব ছেলেরা তাদের self-respect হারায় নি বরং তাদের টাকা-পয়সার জন্য প্রেম-ভালোবাসা করছে সেখানে ওই সব মেয়েরা সব ছেলেদের কথা রাখছে তাদের কোথায় কোথায় চলছে আর তুমি গরীব ক্যারিয়ার ধ্বংস করে টাকা-পয়সা নেই কোন কিছু নেই শুধু মজনুর মত পাগল হয়ে একটি মেয়েকে ভালবাসত সে তোমার একটাও কথা রাখছেনা তখন তোমার সবচেয়ে বেশি কষ্ট হবে আর বারবার বলবে পৃথিবীর সকল ছেলেরা সুখে আছে শুধু আমি নই তখন সে বলবে তাহলে আমাকে ছেড়ে দাও কেন আমার সাথে আছো। তোমার কমজোরি অনেক থাকবে তাই বারবার তুমি এগুলা বলবে যে আমি আজ এটা হওয়ার জন্য তুমি এসব করছ না অনেকবার এগুলা শুনতে শুনতে সে আবার একটা দুইটা কথা রাখবে তারপর আবার সে তোমাকে দাম দেবে না। সে হাসি হাসি মুখে তোমার পরিবার নিয়ে বা তোমার ক্যারিয়ার নিয়ে তোমার জীবন নিয়ে অনেক কথা বলবে আঘাত লাগবে তোমার সেগুলা কিন্তু তুমি হেসে এসে ওইগুলা ছেড়ে দেবে কিন্তু তুমি একদিন যদি হেসে ছোট্ট একটি কথা তাঁর পরিবারের কাউকে নিয়ে বাতাস জীবন নিয়ে বলো তাহলে তোমার আর রেহাই নেই। এমন সময় আসবে যে তোমাকে এসে বলতে বাধ্য হবে যে কুকুরের মতো ঘুরে ফেললে আমার পেছনে জীবনে কিছুই করলে না। আর যদি তুমি বলো আমি তো তোমাকে নামাজ পড়ে পেয়েছি তখন সে বলবে আল্লাহ কি বসে আছেন তোমার নামাজ অ্যাকসেপ্ট করার জন্য হারাম ভালোবাসা নিয়ে নামাজ পড়ছো আর তুমি কি মনে কর এগুলা কবুল হয়ে গেছে এসব ভুল ধারণা। যদি তুমি তাকে বলো তোমার জন্য আমি পড়াশোনা নষ্ট করেছি তখন সে এটাও বলবে তুমি মূলত গাদ্দা ছিলে আর দুষ আমাকে দিচ্ছ। সে তোমার উপর রাগ করে অন্য ছেলেদের সাথে কথা বলতে পারে ইচ্ছেমতো অনেক কিছু করতে পারে তুমি বকা দিলে সে বকা শোনার পর কেন বকা দিয়েছো বলে আবার শুরু করে দেবে জগরা । আর একটা মেয়েকে যদি ভালোবাসো আর সেই মেয়েটির যদি অন্য ছেলের সাথে কথা বলে আর তোমার যদি অন্তর না চলে তাহলে তুমি বালের ভালোবাসো। 

এভাবে বারবার ঝগড়া হতে থাকবে আর ঝগড়া হতে হতে একদিন ভালোবাসা শেষ হয়ে যাবে অথবা এসবের মাঝে একদিন তার বিয়ের সময় হয়ে যাবে কিন্তু তুমি এখনো পরিবারের দায়িত্বে রয়েছে তাই বিয়ের কথা বলবে না এবং সে বিয়ে করে নেবে একবারও তোমার জন্য কাঁদবে না আর তখন তুমি মৃত্যু গ্রহণ করে নেবে। আর বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এমন হয়। আজকাল সুসাইড ট্রেন্ড হয়ে গিয়েছে।

কিন্তু,

যদি তোমার উপরে হঠাৎ একদিন পরিবারের সব দায়িত্ব চলে আসে পরিবারে 7, 8 জন মেম্বার রয়েছেন তাদের সবার দায়িত্ব তোমার কাছে চলে আসে এবং পরিবারের যে গার্জেন ছিলেন তার লক্ষ লক্ষ টাকা ঋণ থাকে এবং উনি এখন আর কিছুই করেন না সবকিছু তোমাকে করতে হবে ঘরে তিন-চারটে বোন থাকবে যারা পড়াশোনা তো করছে তাও আবার সায়েন্স নিয়ে অথবা তাদের অনেকের বিয়ের বয়স হয়েছে বিয়ে দিতে হবে পরে আরো ছোট ভাইয়েরা আছে ঘরে হত অসুস্থ মা বাবা হয়েছেন সবকিছুর দায়িত্ব যখন তোমার একা একজনের উপর আসবে তখন ওই যে ছেলেটা কোথায় কোথায় সাইট করতে যেত কোথায় কোথায় হাত কাটতে কোথায় কোথায় গলা কেটে শুধু ভালোবাসার জন্য তখন আর তার কাছে সে গুলা শেষ হয়ে যাবে এবং পরিবারের প্রবলেম গুলো বড় হয়ে উঠবে। তখন ওই মেয়েটা যদিও চলে যায় অথবা ওই মেয়েটা ভালোবাসা থাকা অবস্থায় বারবার যদি ঝগড়া করে তাহলে রাগ করে হয়তো নিজেও বলে দেবে যে চলে যাও আমার জীবন থেকে অথবা সে নিজেও চলে গেল তখন তোমার সেই কষ্টের চেয়ে তোমার পরিবারের টেনশন আজ এই বোনকে অত টাকা দেবো কালকে অত টাকা দিতে হবে আর তোমার ক্যারিয়ার বলতে কিছুই নেই তুমি কোথায় এত টাকা পাবে বা ছোট বিজনেস করছো সেখান থেকে পরিবার চলছে না তখন সেই টেনশনে পৃথিবীর বালের ভালোবাসা শেষ হয়ে যায়।  যে ভালোবাসা সবচেয়ে বড় পবিত্র মনে হতো সেই ভালবাসার উপর এত বেশি সফলতা আসে যে মুখ থেকে শুধু খারাপ গালি বের হয় আর কিছুই বের হয় না। মনে মনে সেই ভালোবাসার মানুষকে যত বেশি গালি দেবে ততই শান্তি পাবে এরকম ভাব আসবে। আর আগে যে মেয়ের পেছনে কুকুরের মত করেছিলে এখন আবার এই পরিবারের প্রবলেমের জন্য কুকুরের মত বের হবে তবে এবার শুধু টাকা উপার্জনের জন্য। পৃথিবীতে ফেমেলি প্রোবলেম সবচেয়ে বড় প্রবলেম তার থেকে কোন প্রবলেম হতে পারে না কারণ প্রেমে ভালোবাসায় আঘাত পেলে সুইসাইড করা যায় কিন্তু ফ্যামিলি প্রবলেম হলে সুইসাইড করা যায়না কারন আল্লাহ তোমাকে ঘরের বড় বানিয়ে দায়িত্ব দিয়েছেন অথবা পরিবারের দায়িত্ব  দিয়েছেন আর তুমি সেই দায়িত্ব থেকে যদি চলে যাও অথবা সুসাইড করো তাহলে এই পৃথিবী এবং আল্লাহ কখনও তোমাকে ক্ষমা করবে না। প্রেমিকা ধোকা দিলে প্রেমিকার মুখ থেকে সুসাইড করার ইচ্ছা হয় কিন্তু পরিবারে যখন অভাব দেখা দেয় তখন পরিবারের মানুষের মুখ দেখে কখনো সুসাইড করার কথা মনে হয় না বরং সেই পরিবারের মানুষ গুলোকে কিভাবে খুশি রাখা যায় শুধু একটাই চিন্তা মাথায় থাকে। হা যতই পরিবার নিয়ে টেনশনে থাকো আর কুকুরের মত টাকা উপার্জনের জন্য ঘর থেকে বেরিয়ে যাও তারপরও 24 ঘণ্টার মধ্যে তোমাকে একবারও বিছানায় যেতে হবে। আর যখনই বিছানায় যাবে তখন বালিশের সাথে মাথা রেখে অটোমেটিকলি চোখের জল পড়বে যে যার জন্য এত কিছু করলে সে আজ তোমায় ছেড়ে চলে গেল তোমার প্রবলেম বুঝলো না। তবে হ্যাঁ আগের মত আর গলা ফাটিয়ে কাঁদবেনা এবার শুধু চোখের জল পড়বে আর ভিতর থেকে কাঁদবে আবার সকালে ঘুম থেকে উঠবে আবার পরিবারের জন্য ছুটে দৌড়াবে।

ভালোবাসাটা আসলে পাগলামি আর কিছুই নয়। পৃথিবীতে সেই মানুষ সুখী যে কখনও কাউকে ভালবাসেনি। যদি কোনদিন কাউকে ভালোবেসে থাকো তাহলে চিরকাল শুধু এটাই আফসোস করবে জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল ছিল ওই মানুষটাকে ভালোবাসা। 

ভালবাসায় পাগল হওয়া একটা ছেলেকে পরিবারের প্রবলেম জীবন বদলে দিতে পারে। পৃথিবীর সকল ভালোবাসা একদিকে আর পরিবারের অভাব আরেকদিকে। যারা প্রেম-ভালোবাসা করছে তাদের উপর পরিবারের এত বেশি হয়তো দায়িত্ব নেই আর যাদের দায়িত্ব আছে তাদের ভালোবাসায় কখনো সুখ শান্তি থাকবে না আর যারা খুব বেশি টাকাপয়সা ওয়ালা মানুষ তাদের ভালবাসার অভাব নেই আর যারা গরীব তাদের ভালবাসায় কষ্টের অভাব নেই। 

সুখে থাকুক পৃথিবীর ওই প্রত্যেক ছেলেটা যাদেরকে আল্লাহ পরিবারের দায়িত্ব দিয়েছেন।
সুখে থাকুক পৃথিবীর ওই পাগল ছেলে গুলো যারা নিজের self-respect হারিয়ে পাগলের মত একটা মেয়েকে ভালবাসে। 💗 

Comments