Skip to main content

My Life Story



     ৬ জুন 1997 শুক্রবার সেই দিনে আমি এই পৃথিবীতে জন্ম নিয়েছিলাম। সাধারণত কোনো শিশু জন্ম নেওয়ার পর সে কাঁদে কিন্তু তার কান্না শুনে তার মা ও আত্মীয়রা হাসি পায় কারণ ওরা বুঝতে পারে পৃথিবীতে কেউ একজন এসেছে কিন্তু আমি এক অভাগা ছেলে যার কান্না শুনে কেউ হাসেনি বরং সবাই কেঁদে উঠেছিল কারণ আমি প্রতিবন্ধী হয়ে জন্ম নিয়েছিলাম শরীরে 206 হাড়ের মধ্যে মাত্র 6 টা হাড় বাঁকা ছিল দুই হাতে পাঁচটি ও বাম পায়ে একটি। জন্মের পর পুরো পরিবারে অশান্তি সৃষ্টি হয়েছিল আমায় নিয়ে হসপিটাল থেকে বাড়ি শুধু দৌড়াদৌড়ি করছিল মা একদিন বলেছিল যে আব্বা হেঁটে হেঁটে শিলচরের রোড দিয়ে যখন পার হতেন তখন মা আমায় কোলে নিয়ে পেছন পেছন যেতেন এবং আব্বা অনেক দূরে চলে যেতেন এবং তিনি রাস্তা ভুলে যেতেন এবং অনেক সময় কাঁদতেন অনেক কষ্ট করেছেন আমার জন্য না খেয়ে দৌড়াদৌড়ি করেছিলেন হসপিটাল থেকে বাড়িতে মা বলেছিল আমায় যে আমি জন্ম হওয়ার পর সাত দিন পর্যন্ত মুখে এক ফুটো জল ও দেইনি। অনেকে নানান মন্তব্য করেছিল কেউ বলেছিল আমি আর জীবনে হাঁটতে পারব না কেউ আবার বলেছিল বিশ্বাস রাখ আল্লাহ সবকিছুই করতে পারেন। আর নিশ্চয়ই আল্লাহ যা ইচ্ছা তাই করতে পারেন তাই তো উনার পছন্দ ছিল আমাকে এইভাবে জন্ম দেওয়ার তাই উনার পছন্দে আমায় এইভাবে পৃথিবীতে জন্ম দিয়েছেন যদি কারোর কাছে আমি অপছন্দনীয় হয় তবে আল্লাহ তোমার কাছে আমি অপছন্দনীয় নয় এটা আমার দৃঢ় বিশ্বাস।
খুব কষ্ট দিয়েছি সে তোমাকে নয় পরিবারের সবাই কেউ কষ্ট দিয়েছি কেউবা আমায় খুলে নে তো না ভাবতো আমি কোথাও আঘাত পেয়ে যাব কেউ আবার খুলে নিলে আমি খুব কাঁদতাম অনেক রমজান অতিবাহিত হয়েছে মা ইফতার করেননি আমায় খুলে নিয়ে হসপিটাল ধরেছে অনেক সেহরি চলে গিয়েছে মা ভাত খায়নি আমায় নিয়ে হসপিটাল ধরেছে অনেকদিন এমন চলেছে মা-বাবা উপোস রয়েছে আমার জন্য শুধু চিন্তায় যে ঘরে প্রথম ছেলে জন্ম নিল তাও প্রতিবন্ধী।
পিসি মাসি মামা সবাই আমার জন্য চিন্তিত ছিল কারণ পরিবারে একটা ছেলে যে প্রথম জন্ম নিয়েছে সে প্রতিবন্ধী হয়ে নিল। লজ্জার বিষয় নয় সেটা আমি বলেছিলাম অনেক আগে একদিন আমার ডায়রিতে আজ আবার বললাম আব্বু একটু নতুন যামানার মানুষ তাই জীবনে হয়ত মাত্র দু একটি সন্তান চেয়েছিলেন নয় কিন্তু আল্লাহ উনার পরিবারে যখন একটা প্রতিবন্ধী ছেলে দিয়েছিলেন তখন সবাই হয়তো আশা ছেড়ে দিয়েছিলেন যে বড় হয়ে কিছুই করতে পারবেনা ওর জন্য একটি দরকার সেই ভাষায় আল্লাহ দিয়ে দিয়েছে এই পরিবারে শুনেছি আরো দুটো ভাই মৃত জন্ম নিয়েছে তবে সর্বশেষে একটি ভাই পেয়েছি এখন পরিবারে চার বোন ও দুই ভাই। 
মজার বিষয় এটাই সবাই ভেবেছিল আমি বড় হয়ে কিছু করতে পারবো না নিজের হাতে খেতে পারব না সাঁতার কাটতে পারবোনা স্কুল মসজিদে পড়তে পারবো না একা স্নান করতে পারবোনা পায়খানায় যেতে পারবো না এমনকি যাবতীয় যা কাজটা কিছুই করতে পারবোনা
কিন্তু আল্লাহর লীলা দেখো আজ সব কিছুই করতে পারছি কারোর সাপোর্টের প্রয়োজন হয়না।
খুবই ছোট তাতে সব কিছু শিখে নিয়েছিলাম যেমন সাঁতার কাটা নিজে নিজে গোসল করা নিজের হাত দিয়ে খাওয়া দুহাত দিয়ে লেখা পড়াশোনা করা দৌড়ানো খেলাধুলা এমনকি অল্প শয়তানি ও শিকে নিয়েছি।
ভাবতে অবাক লাগে সেই ছোট্ট প্রতিবন্ধী ছেলে যে সবার আসার বাহিরে ছিল সে ওয়াজ অনেক বড় হয়েছে নবীনচন্দ্র কলেজের মত কলেজে পড়ছে সবকিছু করতে পারছে।
দুঃখ নয় মনে কারণ আমার থেকে আরো অনেক গভীর প্রতিবন্ধী মানুষ রয়েছে আল্লাহ আমায় অনেক ভালো করে দেখেছেন তাতেই খুশি। কিন্তু কখনো কখনো মনে এইজন্য দুঃখ আসে যে এই জীবনে অনেক কিছু ফেস করেছি প্রতিবন্ধী বলে। অনেকে অনেকভাবে অবহেলা করেছে শুধু প্রতিবন্ধী বলেই
মানুষ ভাবে আমি প্রতিবন্ধী তাই সরকার থেকে অনেক টাকা পাচ্ছি আসলে সেটা ভুল ধারণা সেটা ঠিক যে আমার handicap certificate রয়েছে কিন্তু কখনো আজ পর্যন্ত কাজে আসেনি কারণ কলেজের বা স্কুলের যখনই আমি scholarship apply করেছিলাম তখন সঙ্গেই সার্টিফিকেট দিয়ে দিতাম অল্প লাভের জন্য যে একটু বেশি আসবে pratibandhi certificate Dekhe কিন্তু আসেনি কারণ তারা ভাবে সে তো প্রতিবন্ধী নিশ্চয়ই handicap department থেকে স্কলারশিপ কিন্তু আফসোস ডিপার্টমেন্টের মানুষেরা বছরে পাঁচ-ছয়বার documents নেই কিন্তু আজ অব্দি একদিনও আমার কিছুই দেয়নি । আব্বু মা দুঃখিত হলেও আমি কিন্তু দুঃখিত নয় বরং বুক ফুলিয়ে বলতে পারব প্রতিবন্ধী হলে কি হলো সরকার থেকে কোনো টাকা খাইনি এই শরীর দেখিয়ে। ছোটবেলা খুবই সুখে কেটেছে কখনো মনের দুঃখ আসেনি এলপি স্কুল হাই স্কুল কলেজ সবকিছু পড়েছি মসজিদ পড়েছি ছোট থাকতেই নামাজের জন্য পাগল ছিলাম তাই তো থাকতেই নামাজ-রোজা ধরে আসছি আমি রেকর্ড করেছি এইটাই যে ক্লাস থ্রিতে যখন ছিলাম তখন ১৪ টা রেখেছিলাম ক্লাস ফৌরে ২০ টী ও ক্লাস ফাইভ থেকে সবকয়টি রোজা রেখে আসছি। ওযু তো সবার মত করতে পারি কিন্তু নামাজে অল্প একটু চেঞ্জ রয়েছে কারণ সাজদা রুকু সব মানুষের মতই করতে পারি তবে যখনই বসতে হয় তখন পা দুটো সামনে দিয়ে বসতে হয়। অনেকে বলেছে তোমার এমনই অনেক কষ্ট হয় তাই একটা চেয়ার নিয়ে আসো নইলে বসে বসে নামাজ পড়ো কিন্তু আমি যতক্ষণ না না কপাল দিয়ে সেজদা করেছি ততক্ষন আমার নামাজ কবুল হচ্ছে বলে মনে হয়না তাই আমি আমার ইচ্ছে মতো সাদা করে নামাজ পড়ি কবুল করনেওয়ালা একমাত্র আল্লাহ। বাত কেউ খাইয়ে দিতে হয়না নিজের ডান হাত দিয়েই খেতে পারি এবং বাম হাত বাথরুমে ব্যবহার করতে পারি কোন অসুবিধে হয়না। যাবতীয় নিজের সব কাজ‌ই নিজে করতে পারি সেটাই আল্লার কাছে লাখ ধন্যবাদ।
খেলাধুলা সবকিছুই খেলতে পারি মোটামুটি একটা কিন্তু কেউ খেলায় রাখেনি এটাই বলে যে আমি প্রতিবন্ধী ফেলতে পারব না আসলে তারা অবহেলা করে। আমি কিন্তু অনেক খেলা খেলতে পারি।
মনে অনেক আশা আছে যে আমি এটা করব সেটা করব কিন্তু যখনই করতে যাই মানুষেরা বলেই আরে না না তুমি পারবে না এই বলে যখন অবহেলা করে তখনই দুঃখিত হয়ে যাই এবং সেই কাজ থেকে দূরে সরে যাই।
অবহেলার দুঃখ অল্প ভালোবাসা আদর স্নেহ মমতা নিয়েই ছোটবেলা চলে গেল হাঁটা খাওয়া গোসল সাঁতার পায়খানা দৌড়াদৌড়ি সাধারণ মানুষের যা যা করতে পারে সব কিছুই শিখে নিয়েছি।



যে বিষয়গুলো আমায় সর্বক্ষণ কাদায়:
                                                যখনই রাস্তা দিয়ে আমি হেঁটে হেঁটে যাই তখন অবুঝ শিশুরা আমায় দেখে পাগল ভাবে নিশ্চয়ই তাইতো হাসে দেখে আমার মত হাঁটে এবং আমাকে লজ্জা দে তা দেখে খুবই কান্না পায় সারাটা রাস্তা কেঁদে কেঁদে যাই এসব দেখে। পৃথিবীর সব মানুষ হাসি মস্তি ফুর্তি করতে পারে আমি যদি কারোর কথাতে কোন জোকস করি তাহলে কেউ অবহেলা করে সঙ্গে সঙ্গেই বলে উঠে তুমি যদি প্রতিবন্ধী না হতে তাহলে জীবনে কিনা করতে এই কথা শোনার পরই আমি ভেঙ্গে যায় এবং কেঁদে কেঁদে দূরে সরে যাই তাদের মহফিল থেকে।

পৃথিবীর সব ছেলের অধিকার রয়েছে বন্ধুবান্ধব বানাতে বান্ধবীদের সাথে কথা বলতেই আমি যদি কোথাও রাস্তাঘাটে বা স্কুল কলেজে কোন বান্ধবীর সাথে কথা বলি তাহলেই অনেকে নানান মন্তব্য করে আমায় ঠাট্টা করে আমায় নিয়ে আসে তা দেখে সঙ্গে সঙ্গেই পড়ি এবং দূরে সরে যায় তাদের দেখে।
অনেক আত্মীয়রাও রয়েছে যারা আমার কোন ছোট স্বপ্ন যদি শুনে তাহলে আমায় নিয়ে ঠাট্টা করে বলে তুমি প্রতিবন্ধি তোমার উচিত নয় এমন করা তোমার উচিত নয় সেখানে যাওয়া তোমার উচিত নয় সেটা করা এইভাবে না না ঠাট্টা করে সবার সামনে লজ্জা দে অবহেলা করে।
স্কুল-কলেজে নানান প্রোগ্রাম হয় নানান খেলাধুলা হয় কিন্তু কিছুতেই আমি পার্টিসিপেট করতে পারিনা নিশ্চয়ই প্রতিবন্ধী বলে কারণ খেলতে পারবো না বললেই বা অন্যরকম ফেলবো সবাই দেখে হাসবে সেইজন্য মনের দুঃখ নিয়ে থাকি এবং আমার জন্য সম্ভব যেমন গান নাটক করতে পারেনা কারন অনেক দেখেছি আমি যখন ওরা আমার মুখের চেয়ে বেশি আমার হাতের পায়ের দিকে থাকায় এসব দেখে আমি নার্ভাস হয়ে যাই এবং আমি আর কিছুই করতে পারিনা।
হাতের লেখা এবং একটু স্পিড কম রয়েছে তাই অনেক সময় অনেক প্রশ্ন শেখায় তাকে কিন্তু সময় চলে যায় এক্সাম হলে তাই এতো ভালো রেজাল্ট করতে পারিনা তবে এত খারাপ নয় মোটামুটি একটু ভালো আছে যা প্রত্যেক ৫০% এর ওপরে রয়েছে জীবনে বন্ধু বান্ধবী বলে কেউ নেই সবাই স্বার্থপরের মত আসে নিজের স্বার্থ আদায় হয়ে যায় এবং চলে যায়।
সেই ছোট থেকে আজ এত বছর হয়ে গেল আজও মনের মতো বন্ধু পেলাম না যে বুঝবে হৃদয়ের কথা শুনবে খেয়াল করে আমার কথা। স্কুল কলেজে অনেক ক্লাসমেটরা আছে তারা আবার তাদের স্বার্থেই ফোন করে আজ অব্দি কেউ ফোন করে এটা বলিনি যে কিরে কেমন আছিস।
স্কুল-কলেজ ছুটি হলে আমাকে একাই বাড়িতে হেঁটে আসতে হয় কেউ আর পথিক বন্ধু হয় না কারণ অনেকেই ভাবে হয়তো আমার সাথে চলে মানুষই আমার দিকে তাকাবে হাসবে সঙ্গে তাঁর হয়তো চলে যাবে অনেক আত্মীয়রাও রয়েছে আমি দেখেছি তাতেই আমি যখনই তাদের বাড়িতে যেতাম তারা আমায় সঙ্গে করে কোথাও নিয়ে যেত না এটাই ভেবে যে তাদের ইজ্জত চলে যাবে।
অবহেলার অভাব নেই জীবনে অনেক আগে থেকেই ফেসবুকে পোস্ট করে আসছি যতই বলব ততই কাঁদব সবকিছুতেই অবহেলা। ইচ্ছে তো আমার রয়েছে একটু ভালো বন্ধু হোক যাকে সবকিছু শেয়ার করব বিপদে-আপদে দেখবে সুখ দুঃখের বন্ধু হবে এমন কেউ নেই তবে হা একটি বন্ধ রয়েছে তাকেই best friend ভাবি কিন্তু সে অনেক বিপদে-আপদে সাহায্য করে দুঃখ এটাই সে আমার দুঃখ গুলো খেয়াল করে শোনে না আমি তার কথায় কথায় রেসপেক্ট এই সে আমায় respect হয়তো দেয়না আমি যা বলি তা শুনে না আমার কথাগুলোর দাম তার কাছে নেই হয়তো কিন্তু তাকে যে আপন ভাবি তাই তার প্রত্যেকটি কথায় কথায় আমি চলি। জীবনে অনেক বন্ধুরা এসেছে অনেক বন্ধু চলে গিয়েছে সবাই এসেছিলো নিজ স্বার্থেই স্বার্থ আদায় হয়েছে চলে গিয়েছে কারর আবার স্বার্থ আদায় করতে পারেনি বলেও চলে গিয়েছে।
শুনেছি অনেক ভাল মানুষ হয় প্রফেসররা শিক্ষকরা তবে নিজের চোখেও দেখেছি কিন্তু তার মধ্যেও দু-একজন এমন আছে যারা আমার এই প্রতিবন্ধকতা নিয়ে অনেকবার বলে আমায় কাঁদিয়েছে। অনেক বছর আগে ক্লাসে একটু হাসি করেছিলাম সেই হাসিতে স্যার আমায় শাসন না করেই আমায় সব ছাত্রদের মধ্যে লজ্জা দিলেন বললেন আমার আব্বু নাকি সার্কের রিকোয়েস্ট করে স্কুলে admission দিয়েছিলেন তারা আমায় রাখতে চাই ছিল না কারণ আমি প্রতিবন্ধী আর প্রতিবন্ধী ছাত্ররা রাখলে অনেক বিপদে পড়তে হয়। সেই স্যার কি আজ বলছি আমি তো চলে এলাম তোমাদের স্কুল থেকে তবেই 8 বছর যেন থাকলাম 68 বছরে কখনো আমার জন্য কি কোন কষ্ট করতে হয়েছে আমি কি কখনো উস্ট খেয়ে পড়েছি আমি কি কখনো তোমাদের কষ্ট দিয়েছি। আর একজন প্রফেসর আছেন এই কয়দিন আগেই ক্লাসে উনার কথাতেই খুব জোর জোর করে হাসছিলাম এবং উনি আমায় শাসন না করেই সব ছাত্রদের মধ্যে বলেছিলেন যে আমি প্রতিবন্ধী তাই আমাকে প্রতিবন্ধীর মত টাকা প্রয়োজন আর নানান কিছু বলেছিলেন ইচ্ছে করছিল ক্লাস থেকে বেরিয়ে যেতাম কিন্তু স্যারের ইজ্জত রাখতে গিয়ে আমি মাথা নিচু করে ক্লাসে বসে কেঁদেছিলাম আজ পর্যন্ত সেই স্যারের ক্লাসে ঢুকিনি।
অবহেলা তো ছড়িয়ে রয়েছে বেশিরভাগ অবহেলাই অশিক্ষিত মানুষেরা করে কিন্তু যখন শিক্ষিত মানুষেরা এইভাবে অবহেলা করে তখন দুঃখ আরো পায় কোন আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে এইজন্য যায়না যে আমার নামাজ মিস হয়ে যাবে কারণ আমি যে নিয়মে নামাজ আদায় করি সেই নিয়মে যদি বাহিরের কোন মসজিদে নামাজ পড়ি তাহলে অনেক মানুষ আছে অনেক বাচ্চারা দেখা করে তাই নামাজের জন্য আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে যাওয়া বন্ধ করেছি। যখনই রাস্তা গিয়ে কোথাও যাই নানান কমেন্ট নানান হাসি দেখে শুধু কাঁদি মনে শান্তি নেই জন্মের পর থেকে আজ পর্যন্ত সবসময়ই কেঁদেই যাচ্ছে কখনও মুখে হাসি আসে না মুখে হাসি থাকে তবে তা মিথ্যে হাসি এইজন্যই হাসিটাকে যে মানুষকে দেখাবো আমি সুখে আছি। আজ অব্দি কেউ পায়নি যে আমার মিথ্যে হাসি দেখে বলবে কিরে তোর কি হয়েছে। সমাজে মানুষ সব সমান নয় নানা রকম মানুষ রয়েছে তাই যতদিন বেঁচে আছি যতদিন এইভাবে অবহেলা ও ভালোবাসা পেয়ে যাব। তবে স্কুল-কলেজে বা অফিসে আমাকে দাঁড় করিয়ে রাখা হয় না প্রতিবন্ধী বলেই লাইনের প্রথমেই রাখা হয় খুবই আদর তখন পাই তখন নিজেকে একটু প্রাউড ফিল করি। কবিতা লেখার শেষ নেই তাই অবহেলা নিয়ে অনেক কবিতা লিখেছি। ছেলেরা তো অবহেলা করে করে সঙ্গে মেয়েরা তো আরো বেশি করে আর তাদের করার কারণ ও হাজার রয়েছে। তবে যা-ই করুক অবহেলা করুক আর ভালোবাসা আমি কিন্তু আল্লাহর শোকরিয়া আদায় করে এ জীবন চালিয়ে যাব।

আমার এই ছোট্ট প্রতিবন্ধী জীবনে যা স্বপ্ন রয়েছে তার বিষয়ে বলছি:-
                                                স্বপ্ন বলতে কিছুই নেই মানুষের স্বপ্ন থেকে যায় যে বড় হয় বড় গাড়ি কিনবে বাড়ি বানাবে আমার তেমন স্বপ্ন প্রয়োজন নেই কারণ আমার আব্বু সবকিছুই বানিয়ে দিয়েছেন আমাদের বিশাল বড় বাড়ির হয়েছে এবং আমি আমার ছোটভাই সারাটা জীবন এই বাড়িতেই কাটিয়ে যাবো অনেক বড় বাড়ি।
ঘরে এখন বেকার আছি পড়াশোনা চলছে ডিগ্রীতে ডিগ্রিতে অনার্স নেই তাই পড়াশোনা একটু কম হতো পড়াশোনা শেষ করে সারাটা দিনই ঘরে থাকি সবসময় ফেসবুক করি বিছানায় কিন্তু আজ পর্যন্ত একটিবার ওবামাও কখনো আমায় একথা বলেনি যে সারাদিন ঘরে কি করছো যাও বেরিয়ে গিয়ে কিছুক্ষণ কাজ কর বলেনি যে আমার হবে আমার পয়সা খাবে। সারাটাদিন রুমের মধ্যে আছি সময়মতো নামাজে যাচ্ছি সময় মত খেতে যাচ্ছি আর সারাটা দিন মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত আছে পড়তে বসে আছি কিন্তু কখনো চোখ উল্টিয়ে দেখেননি আমায়।
ঘরের ছোট ভাই রয়েছে সেই 7-8 বছরের ছোট ভাইটিকে দিয়ে অনেক কাজ করান কিন্তু আমায় ভুলেও একটি কাজ করতে বলেননি আমায় দিয়ে কোন কাজ করান না খুবই ভালোবাসেন।
তবে আমার যে ছোটখাট স্বপ্ন রয়েছে তা অনেকটাই পূর্ণ হয়ে গিয়েছে আব্বুতো মাথার উপরে আছে নি তারপর আমিও টিউশন করিয়ে আমার পকেট খরচ চালিয়ে যাচ্ছি এবং মোবাইলের যা খরচা অনেক ছোটখাটো স্বপ্ন পূরণ করে নিয়েছি।
বড় স্বপ্নের মধ্যেই শুধু এই স্বপ্নই রয়ে গেল যে যদি আমি সরকারি কোনো জব পাই বা ভালো কোনো জব by private হোক না কেন তা হলেই পরিবারের দায়িত্ব নিশ্চয়ই আমি নিয়ে যাব আর যদি আমি দায়িত্ব নিয়ে নিতে পারি তাহলে আমার ছোট ভাইকে আমি হাফিজ বানাতে পারব কারণ আব্বা তাকে school পড়াচ্ছেন ভাবছেন সে বড় হয়েও চাকরি করবে কিন্তু আমি যদি সব পেয়ে যাই তাহলে একবার কথা আরমান বনাম বানাবো এবং একটি বোয়িং খুব ভালো তাই যে এসেই ছোট ছোট বোনকে যদি পারি তাহলে সেটাই আমার কাছে আর নিজের কোনো স্বপ্ন নেই এটা কোন স্বপ্ন নেই শুধু এই স্বপ্নই রয়ে গেল ছোট বোনকে এবং সাহায্য করব টাকা খরচ করে এবং এবং মসজিদ-মাদ্রাসায় খরচ করতে তাই টাকা পয়সা দিয়ে সাহায্য করব এটাই স্বপ্ন। বড় স্বপ্ন আরেকটা রয়েছে মাকে ভালো হসপিটাল নিয়ে যাব চেন্নাইতে।
মার দুবার অপারেশন হয়ে গেল কিন্তু উনার যে অসুবিধে তা কখনো শেষ হয়নি কখনো dr বলল পাথর কখনো বলল appendix কিন্তু অপারেশন করার পর সবকিছু কেটে ফেলার পর তবুও তার পেটে ব্যাথা যে অসুবিধা তা কখনো শেষ হলো না কোনদিন মাকে নিয়ে হসপিটালে যাব যদি সন্তান হয় সেটা না করতে পারি তাহলে নিজের ওপর ঘৃনা।
অনেক মেধাবী ছাত্ররা রয়েছে যা করতে চায় কিন্তু টাকা-পয়সার অসুবিধায় যা স্বপ্ন ছিল তা পূর্ণ করতে পারেনি অর্থাৎ science করতে পারেনি আমি সেই সব ছাত্রদের সাহায্য করব একদিন যদি আল্লাহ তৌফিক দান করেন।
তবে টিচার হতে চাই না কখনো শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন ছিল না টিউশন করাচি হ্যাঁ সেটা ঠিক কারণ student job ভালো তাই তাদেরকে পড়াতে খুব ভালো লাগে এবং যে ট্রেনগুলোকে পড়ায় তাদের মাঝে আমি আমার দ্বিতীয় মা ভাবি কারণ উনি উনার সন্তানদের চেয়েও বেশি ভালবাসেন সর্বদা আমার প্রতি খেয়াল করেন এবং প্রায় সময়ই আমার পকেটের পয়সা দিয়ে হয় মাসে যে টাকা দেন তার চেয়ে বেশি ওকে দিয়ে দেন খরচ করার জন্য আমাকে।
অনেকে বারবার প্রশ্ন করছে আমার percentage বালা হওয়া সত্ত্বেও কেন d.el.ed exam দিচ্ছি না কেন ওঠে বসবো না কিন্তু আমি তাদেরকে এটাই বলতে চাই যে আমার হৃদয় একটা দুঃখ রয়েছে সেই দুঃখ সর্বদা পাই আর আমি যদি টিচার অর্থাৎ  পাঠশালাযর শিক্ষক হয়ে যাই তাহলে আরো কষ্ট বেরিয়ে যাবে তাই আমি এসব করতে চাইনা কষ্টটা হলো
এখনো শিশুরা তো বুঝতেই শিশুরা যখনই আমায় ডেকে না না ঠাট্টা করে আসে আমায় নিয়ে ইয়ার্কি মারে ফুর্তি করে তা দেখে মনের দুঃখ আসলেও তখন মনে হয় তারা তো বুঝতেই দূরে সরে যায় তাদের কাছ থেকে এটাই দুঃখ তাই যখন আমি টিচার হব এবং সাধারণত ছোট ছোট বাচ্চারা অবুঝ বাচ্চাটাকে আর সেই বাচ্চারা যখন আমি ক্লাসে ঢুকলো তখন আমাকে নিয়ে ঠাট্টা করবে তাহলে আমি তাদেরকে পড়াবো নাকি আমি বসে বসে কাঁদবো নাকি আমি সব ছেড়ে দেবো তাই আগে থেকেই দিচ্ছিনা আমার এই negative sense খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে খাচ্ছে আমায়। তাই কখনো নিজেকে টিচার বানাবো না tet exam দেবনা অনেক আত্মীয়রা চার্জ করছে অনেকে অনেক কিছু বলছে কিন্তু আমি তাদেরকে বলছি আমি মরতে রাজি আছি কিন্তু আমি পাঠশালার শিক্ষক হতে চাইনা পায়ে ধরে বলছি আমাকে আর জোর করবে না d.el.ed এক্সাম দেওয়ার জন্য। যদি কিছু মতে থাকে তাহলে কোন অফিসার চাকরি পেতে চাই যেখানে বসে বসে কম্পিউটার এর মধ্যেই সবকিছু হবে বা লেখার মধ্যেই সবকিছু হবে যা আমি করতে পারি যা মানুষের থাকবেনা কম মানুষ থাকবে এবং থাকবে তার সমবয়সী থাকবে শিক্ষিত তারা আমারটা করবে না তাহলে নিশ্চয়ই করব আরো অনেক কারণ একটু দুর্বল হয়ে পড়েছে। ছোটবেলায় সব মানুষই বলতো মন দিয়ে পড়ো তুমি নিশ্চয়ই চাকরি পাবে তোমার ঘোষ দিতে হবে না তোমাদের কোনটা আলাদা কিন্তু বড় হয়ে এখন যা দেখলাম বাব্বাহ কোন জবি পাওয়া যাচ্ছেনা। যা job রয়েছে তাতে handicap রিজার্ভেশন নেই শুধু sc obc। তবে আশায় আছি প্রাইভেট হকার সেন্ট্রাল হোক নিশ্চয়ই একদিন পাব আর যখনই জব পেয়ে যাব নিজের স্বপ্ন পূরণ করে ফেলব ছোট বোন ছোট ভাইকে ভালো করে পড়িয়ে মানুষ বানাবো যদি মৃত্যুর আগেই আল্লাহ তৌফিক দেন এবং আল্লাহ টাকা-পয়সা দেন তাহলে গ্রামের মানুষগুলোকে ও আমার আত্মীয়কে খোঁজ করাব আমার টাকা দিয়ে একটিভ মসজিদ বানাবো একটি স্কুলও বানাবো আল্লাহ যদি তৌফিক দেন তাহলে আল্লাহর আল্লাহর কাছে সর্বদা এটাই দুয়া যে আমায় তৌফিক দিলে আমি ঐসব করব।
পোষ্টের শেষে এটাও আবার বলছি যদি কেউ official তাকওয়া কারোর প্রয়োজন হয় তবে আমাকে ডাকতে পারো যদি ছোট্ট একটি জব দাও তাহলে খুবই খুশি হতাম ফারুক ভাই বলেছিলেন কিছু একটা করবেন।
তবে ফেসবুকের সব বন্ধুদের কে বলছি যদি ভাল পোস্ট থাকে এবং আমাকে দিতে পারো তাহলে অপেক্ষায় থাকবো।

আমার জীবন গল্পের শেষ অধ্যায় প্রতিবন্ধী ভালোবাসা নিয়ে একটু আলোচনা করছি

                                     সব কিছু লিখতে পারবো না সারারাত চলে যাবে লেখা শেষ হবেনা তবে অল্প লিখছি এবং দু'একটি কবিতা আমার লেখা আমার জীবনের ভালবাসার উপরে তার শেয়ার করছি যারা ভালো ব্যাখ্যা করতে পারে তারা নিশ্চয়ই কবিতাগুলো পড়ার পর বুঝতে পারবে।

ভালোবাসা একটি অনুভূতি একটি বিশ্বাস একটি শান্তি একটি আলো ভালোবাসা সুখেতে বাঁচার একটি উপায়। ভালোবাসা শুধু তোমার জন্য কি বালোবাসা তো আমার মতো প্রতিবন্ধীরও  প্রয়োজন 21 বৎসর বয়স হয়ে গেলেও এতটি বৎসরের মধ্যে আমি আজও পায়নি এমন কেউ যার সাথে শুরু হোক আনন্দ শেয়ার করব আচল দিয়ে চোখের জল মুছ বউ যার হাতে হাত ধরে আমি রাস্তায় হাঁটবে বুকে মাথা রেখে মনের সব দুঃখ ভাসিয়ে দেবো আমি পাই নি এমন কেউ যে আমার এই protibondhi হাত ধরবে আমি পাই নি এমন কেউ যে আমার সাথে একা পথে হাসবে আমি পাই নি এমন কেউ যে আমার চোখের ভাষা বুঝবে আমি পাই নি এমন কেউ যে আমার নীরবতা বুঝবে আমি পাই নি এমন কেউ যে আমার হাতে হাত ধরে হাজারো মানুষের ভিড়ে হাটবে আমি পায়নি এমন কেউ যে আমার মনে তে বাসা বানিয়ে প্রেমের নিদ্রায় শুয়ে থাকবে। সময়ের স্রোতে অনেকের সাথে দেখা হলো অনেক কেই পছন্দ হলে অনেক কেই ভালোবাসা হলো হায় কেউ তো আর এই হাত ধরল না কেউতো আর বুঝলো না কেউ তো আর আমায় পাত্তাও দিলোনা। অনেকের বিয়ে হয়ে গিয়েছে অনেকেই অন‍্যের হাতে হাত ধরে দূর দেশে চলে গিয়েছে অনেকে আবার আমায় ঘৃণা করে এখনো চলছে। Onekei bole meyera Stylish Sele pasando kore ekon Bolo Jaar hater 2 ti haddi baka she kivabe Sul spike korbe She Kibave Face Makeup korbe She Kun Haat Diye Eto Design Dorabe Dehe... Jar Pau Ekti Baka Je Hatar somoy Rastat Dhula Ure Kapore Lage She kivabe Style korbe Se kivabe Pose debe se kivabe Porishkar Takbe?? J Khub Dharmik Morlew Dhari te Haat lagabena se kibave Style korbe ?? 21 botshor boyoshe Tho r maake baa boin ke bolte parbona J amar matay tel va jel lagiye dew, amar muke cream lagiye daw, Amay valo kore gusol koriye dau, haa eta tik Jodi Kew valobashto tahole oke bolte partam daw tumi cream lagiye daw, matay tel lagiye daw oke apon beve Nijer Style Korate partam kintu jokon kew nei tahole ki kore korbo... R Valobhasar formula oneker shate onek bave Dekiyechi karor o r prem hoyni Tobe eta sure Ami eto Kalo noy premer jonnyo, amar main problem holo Protibondi... Jemon amar ek Premika amay bolechilo ami tumake Bhalobastam jodi amar kuno ek frnd e Bolto j Koysar ke Love kor Ora tho ulto boleche J Jodi Koysar ke love Koros Tahole Amra tor shate frndship ses kore debo r Premika nujei bolechilo J Orr shob frnd Lover ra Handsome R ami Handicap amar jonnyo o nijeke Sacrifice korte parbeba.. taholo bolo Ki vabe Ami bolbona nijeke Protibindhi.. arek premikar kahani tho promise day bollam r arekjoner tho Biye hoye gelo... Etai Bastob Ei Valentine's Day amar jonnyo noy tobe Mone ekohono asha royeche J onek shuk duk ase jaa fb te share korte parsina o best fnd o nai jake share korbo iccha chilo j Prenikar pashe boshe matro 1 ta diner jonnyo oke shob pran khule Bole Jodi more jaai tobuo dukko naai... Janina kobe eo pritibi chere choloe Koborer dike rowana hobo tobe Iccha adhura roye jabe Aaj porjonto fb te onek dukko dukker post korechi shalar fb tew pailam na kawke apon... Valobhashar shaad ta pete khub e icche shudu Handicap howar jonnyo Janina kokon kaar doya ashbe ei Handicap Haat pa deke... Tobe R karor kache premer bhikka Chaibona Ja chawar cheye niyechi behaya hoye giyechi jokon paini r Pawar o asha naai... Gboner eto dukko janina kobe ses hobe kobe Ei ostayi gbon teke biday nebo kobe Ei pribir buke Miliye jabo... Jodi Kew hou Amar premika tobe tumake Aaj eo Dine Shobai jehetu propose korche Ami koriar tumake..

Jaan Gbone Ki devo janina kototuku shuke rakbo janina koto balobhashbo janina Tumay niye kotodin bachbo ami janina kintu shudu etai Jani Aami Ei pritibite Allar Icchay Handicap o Bina Talent e Jonmo newar jonnyo Onek dukke achi Shudu Ekti muhurter jonnyo Tumi Amay valobheshe Tumar Bhuke Mata reakte dile Nijer eto botshorer Shob Duk bhasiye Diye ami tumar bhukei Ei Mayar pritibi charte chai Ami Mritthuke Bhoy korbona Jodi Tumi Tumar bhuke Morte dau.. will u be My Premika???

It's not possible, which my heart wanted to get,
If broke my all hopes what I do??
The dreams which seen by me, may not come into reality
If my luck not with me what I Do???
My heart is crying, it want to get calm somewhere
But when god offered me handicap what I do??

Those who lives in my heart, why they broke that ??
Some rested in my cheast, haaye now giving me hurt !!
Once who was my life partner, why she seems unknown?
The relation of my love Haaye now giving me pain.

The happy memories are attacking my love Temple
If I do not find rest anywhere what I do ??
The lovable heart of anyone, may fortunately get !
If anyone goes away from life, never easily forget !

I know there are thousands ways to live with
But it's impossible live anyone's heart and Faith
If there is an written in my luck, how I get her ??
If God started ignoring me then what I do?

People may like me or not, on account of my handicapness
But when my lover never understand me, what I  do
They always want cute and enable person for love
Alas! ALLAH unfortunately Created me disable what Koysar does??
                                   


                                    

কেড়ে নিলি সব সুখ           বদলে দিলি এত দুখ
                কেমন করে সহ্য করে বল
মনে দিলি এত কষ্ট              পথ দেখিয়ে করলি পথ ভ্রষ্ট
                তোর নিষ্ঠুরতায় হলাম আমি পাগল
ভেঙ্গেদিলি মন আকাশ         বন্ধ করলি প্রেম বাতা
                কি দোষ করেছি আমি বল
 ভুলে গেলী সব কসম          ভেঙ্গে দিলি সব রসম
               আমি কি মিথ‍্যুক ছিলাম বল
 থামেনা দুচোখের ধরিয়া       দিবা নিশি কাটে কাঁদিয়া কাঁদিয়া
                মনে প্রশ্ন জাগে কেন করলি এমন
 তোমায় মন খুলে ভালোবেসে      তোমার নিষ্ঠুরতায় আজ ফেঁসে
                শুধু বরবাদ হল মোর ছোট্ট জীবন
 থাকবে তুমি অনেক সুখে          যদিও জ্বলে এই আগুন এ বুকে
                যদিও কাঁদি আমি তোমারি ভাবনায়
 দিচ্ছি তোমায় হাজার ধন্য         পেয়েছ তুমি প্রেমিক অন্য
               আমি কিন্তু তাকব উত্তরের অপেক্ষায়।।

                        ~~~~~~~~~~~~~~~~~~~

সুখ আকাশে তুমার উড়তে পারিনি,
রুপ সাগরে সাঁতার ও কাটি নি,
হেরে গেলাম ভালোবাসায় ওগো,
তোমার প্রেমিক আমি হতে পারিনি।।

কল্পনার দরজা বন্ধ চোখের জানালা ও বন্ধ
ভালবাসার পাঠ শেষ,
সুগন্ধ তোমার চারছেনা সঙ্গ,
স্বপ্নই শুধু ভঙ্গ, হাহাকার মনের দেশ।।

প্রতিবাদ করতাম যদি পেছনে থাকতে!
আঁচল মাথায় রাখতে! ভালোবেসে
চাঁদ-তারা চরণে রাখতে অক্ষম হলেও,
তোমার নাম লিখে দিতাম বাতাসে।।

যদি একটি বারের জন্য দুটি চোখ তোমার
এই প্রতিবন্ধী শরীরে রাখতে
ভালোবাসা, গরিল্লা গ্লাস ভেঙ্গে
রাজত্ব করতে পারত তোমার পাষাণ মনেতে ।।

তোমার সুভাগ্য না মোর দুর্ভাগ্য তা অজানা,
আমি আসিনি তোমার ভাবনায়!
নিশ্চয়ই বাসতে ভালো মধ্যরাতে ঘুমের বদলে
যদি আমি আসতাম তোমার কল্পনায় ।।

ভিখারি ও ন‌ই অগো ধনি ও নই
আল্লাহর কৃপায় আমি শুধু প্রতিবন্ধি
ভাবিনি এই কৃপায় কখনও জীবনে
কষ্টের কারাগারে হব বন্দি।।

বুঝলে না এই মন আপন করতেছ অন্যজন
অন‍্যের জীবনে করবে তুমি চকচক
দু'রাকাত নামায তোমার নামে আদায় করে
জানাই শুভ বিবাহ মোবারক।।
                   ~~~~~~~~~~~~~~~~~

Comments